স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ অক্টোবর : রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছে, আর অশান্তি রুখতে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি রাজ্য পুলিশের কাছে বিচার না পেয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হতে চাইছেন। কিন্তু সময় দেওয়া হচ্ছে না বিরোধী দলগুলোকে। সম্প্রতি যে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যে তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপাল যাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করে তার জন্য ত্রিপুরার রাজ্যপাল সত্যদেব নারায়ণ আর্যের কাছে দেখা করতে সময় চাওয়া হলে তিনি অসুস্থ বলে দেখা করার সময় দেননি। শুক্রবার প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস ক্যাম্পে যোগদান সভায় ত্রিপুরার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এভাবেই ক্ষোভ উগরে বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ।
তিনি বলেন, রাজ্যপালের এ ধরনের ভূমিকার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় ত্রিপুরায় জঙ্গল রাজ চলছে। রাজ্যপালের ভূমিকার তীব্র নিন্দা জনক। তিনি অসুস্থ আছেন বলে জানিয়ে দিচ্ছেন বিরোধী দলগুলোকে। তাহলে প্রশ্ন উঠছে ত্রিপুরায় কি বিজেপি এজেন্টদের রাজভবনে বসানো হচ্ছে? কারণ ত্রিপুরায় বিরোধীরা আক্রান্ত হয়ে পুলিশের কাছ থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত রাজ্যপালের দ্বারস্থ হতে চাইছেন। কিন্তু তিনি অসুস্থ বলে দিয়ে দেখা করতে চাইছেন না। সংবিধানের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করা দরকার রাজ্যপালের। সমাজের মধ্যে বিভেদ বিষ ছড়ানো হচ্ছে। সমাজকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করতে চাইছেন শাসক দল বিজেপি। মানুষ পুলিশের সামনে আক্রান্ত হচ্ছে। পুলিশ নীরব দর্শক বানিয়ে রাজনৈতিক হামলা চালানো হচ্ছে। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে রাজ্যপালকে সক্রিয় হতে হবে। বিরোধীদের কথা শুনতে হবে রাজ্যপালের।
পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ হতে হবে। হামলাবাজি থামাতে হবে। অশান্তির পরিস্থিতির সৃষ্টি করে ১৪৪ ধারা জারি করা যাবে না। রাজ্যপালকে নিজের হাতে সামলাতে হবে। নয়তো তৃণমূল কংগ্রেস বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন আসন্ন নির্বাচনে নতুন আগরতলা এবং নতুন ত্রিপুরা করায় রূপরেখা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীর কাছে আগামী ৩১ অক্টোবর পেশ করবেন। ত্রিপুরার মানুষের কাছ থেকে তীব্র সাড়া মিলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের। শুক্রবারও ৪৭ পরিবার থেকে ১৯৬ জন ভোটার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছে। মজলিশপুর, রানির বাজার এবং বাধারঘাট থেকে বিজেপি, সিপিআইএম এবং কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে স্বাগত জানান রাজ্যসভার সংসদ সুস্মিতা দেব।