স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ জুন : পা ছুঁয়ে আর্শীর্বাদ নিলেন বাবা সমীর রঞ্জন বর্মণের। প্রীয় সুদীপের মাথায় চুম্বন দিয়ে আগামীর লক্ষ্যে পুত্রকে আর্শীবাদ করলেন বাবা। দুটো বিষয় স্পষ্ট। প্রথমত কংগ্রেস ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসতে চলেছে মেডিসিন ওয়ার্ডে। আর দ্বিতীয়ত সুদীপ রায় বর্মণের কাছে পরাজয়ের মুখ দেখতে হচ্ছে বিজেপিকে।
এই দুটো বিষয় যেন চাঙ্গা করে তুলেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীর রঞ্জন বর্মণকে। বেড রুম থেকে বেরিয়ে চলে আসেন বাড়ির উঠোন পর্যন্ত। ধীরে ধীরে সুদীপ রায় বর্মণের ঢল আছড়ে পড়ে বাড়িতে। এক প্রকার সুনামি ঠেলেই বাবা সমীর রঞ্জন বর্মণের কাছে এসে পা ছুঁয়ে আর্শীবাদ নেন প্রীয় পুত্র সুদীপ রায় বর্মণ। বাবাও প্রাণ ভরে চুম্বন দিয়ে দিলেন আশীর্বাদ। সমীর রঞ্জন বর্মণ বলেন সুদীপ রায় বর্মণের এই জয়ে উজ্জীবিত হবে কংগ্রেস। আশিষ সাহা জিতলে আরো ভাল হতো। রাজ্যের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো মুখ্যমন্ত্রী ভোটে রেগিং করে জিতেছে।
স্বামীর এই জয়ে খুশি সহধর্মীনি পিনাকী রায় বর্মণ। তিনি বলেন স্বামীর জয় নিয়ে শুরু থেকেই আশাবাদী ছিলেন। জয় তো জয় ই। তা এক ভোটে হোক কিংবা তার বেশি ব্যবধানে। এদিকে সুদীপ রায় বর্মণের এই জয়ে উল্লাশ আছড়ে পড়ে সুদীপ অনুগামীদের মধ্যে। প্রত্যেকের মুখে মুখে উঠে আসে ভোটের আগেকার রাতে সেই আক্রমনের ঘটনা। টাইগারকে আরো বেশি ভয়ঙ্কর করে তুলবে এই উপভোটের জয়। সব মিলিয়ে বলা যেতে পারে সুদীপ রায় বর্মণের হাত ধরেই ২০২৩ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই এ প্রতিদন্দ্বীতা করার ব্যাক আপ ডোজ নিয়ে নিলো কংগ্রেস। এই উপভোট দিয়েই শুরু কংগ্রেসের কোমড় সোজা করে পথ চলা।