স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ জুন : বৃহস্পতিবার ত্রিপুরায় কোন নির্বাচন হয়নি। রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের যারা ভোটার তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভোট দিতে পারেনি। নির্বাচন প্রহসনে তৈরি করেছে। গণতন্ত্রের জন্য এটা লজ্জা এবং কলঙ্ক। কারণ বিজেপির জন্য ত্রিপুরার মাটিতে আবারো গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে। তাই ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে ইস্তফা দিয়ে পুরো মন্ত্রিসভা ভেঙে নতুন করে মানুষের রায় নেওয়া জন্য দাবি জানায় তৃণমূল কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস ক্যাম্পে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা বলেন মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, উপনির্বাচনকে বিজেপি গুন্ডাবাহিনী দিয়ে রেগিং, সন্ত্রাস এবং প্রহসনে পরিণত করেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন অবাধে ভোট হবে। কিন্তু অবাধে ভোট হয়নি। অবাধে ভোট করলে বিজেপির জামানত জব্দ হবে। তাই শান্তিপূর্ণ ভোট করতে দেয়নি বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী বদলের পরও এতটা সন্ত্রাস করে ক্ষমতায় থাকতে হচ্ছে বিজেপি’র, তার জনগণের চিন্তার বাইরে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানানো হচ্ছে। সন্ত্রাস দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে থামানো যাবে না।
এদিন যখন রেগিং এবং গুন্ডাগিরি চলছিল তখন নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ত্রিপুরা পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আঙ্গুল চুষেছে। এবং বিজেপি জানে ত্রিপুরায় তাদের ভীত নড়ে গেছে। তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের সমর্থন পাচ্ছে। ফলে সকাল থেকে পরিকল্পিতভাবে বহিরাগত দিয়ে ভোটারদের ভোট দিতে না দেয় নি। তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টদের ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। কারণ তারা বুঝতে পেরেছে যদি সন্ত্রাস না করে তাহলে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। ২০২৩ -এর আগেই উপনির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন, বুঝা যাচ্ছে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরা থেকে বিদায় নিচ্ছে বিজেপি। ত্রিপুরার মানুষ বিজেপির বিকল্প তৃণমূল কংগ্রেসকে চাইছে। তাই বিজেপি প্রধান চ্যালেঞ্জার হল তৃণমূল কংগ্রেস বলে জানান তিনি।