স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ জুন : কয়েদি জামাল হোসেনের মৃত্যুর জন্য ১০ লক্ষাধিক টাকা চার সপ্তাহের মধ্যে ক্ষতিপূরণ হিসেবে রাজ্য সরকারকে প্রদান করার জন্য নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত। উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর জামাল হোসেন নামে এক ৩৫ বছর বয়সি যুবকের মৃত্যু হয়েছিল। সেদিন রাতের বেলা সোনামুড়া থানার পুলিশ জামাল হোসেনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। পরের দিন জামালের পরিবারের লোকজনদের খবর দেওয়া হয়।
পরিবারের লোকজনদের বলা হয় জামাল নাকি থানার মধ্যে হৃদরোগের আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। পরবর্তী সময় জামালের স্ত্রী উচ্চ আদালতে একটি রিট মামলা করেন। অভিযোগ করেন থানায় নিয়ে পুলিশের শারীরিক নির্যাতনে জামালের মৃত্যু হয়েছে। উচ্চ আদালত ময়না তদন্তের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে পর্যবেক্ষন করে দেখে জামালের শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন ছিল। পুলিশ গল্প সে বিষয়ে গল্প বানায় জামালকে গ্রেপ্তার করার সময় সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। তখন মাটিতে পড়ে আহত হয়েছিল জামাল। পরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে জামালের। কিন্তু উচ্চ আদালত পুলিশের এই বক্তব্যের উপর আস্থা রাখতে পারিনি। বিষয়টি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে জানতে পারে এটি হাজত হিংসার মৃত্যু। পুলিশের বানানো গল্প গ্রহণ করেনি উচ্চ আদালত। রাজ্য সরকার এইগুলি বরাবরই ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। উচ্চ আদালত পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা গ্রহণ করে এবং আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ১০ লক্ষাধিক টাকা জামালের পরিবারকে প্রদান করতে নির্দেশ দেয় বলে জানান আইনজীবী পুরুষোত্তম রায় বর্মন।
পূর্বে এধরনের হাজত হিংসায় মৃত্যু হয়েছে কয়েদির। মামলাটি এর ব্যতিক্রম ছিল না। উচ্চ আদালতের রায়ে জামালের পরিবারের এটি বড় সাফল্য। এ ধরনের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস যাতে আগামী দিনে না হয় তার জন্য আহ্বান জানান আইনজীবী পুরুষোত্তম রায় বর্মন। তিনি আরো বলেন, মামলাটি রায় দেন প্রধান বিচারপতি ইন্দ্রজিৎ মহান্তি। সেদিনের ঘটনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে ফৌজদারি মামলা চলবে।