Monday, June 16, 2025
বাড়িরাজ্যগোপন বোঝাপড়ার মাধ্যমে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির প্রক্রিয়ার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত...

গোপন বোঝাপড়ার মাধ্যমে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির প্রক্রিয়ার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত স্যন্দন টিভির চিত্র সাংবাদিক

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৭ মে:   একাদশ শ্রেণিতে ছাত্র ভর্তির প্রক্রিয়ায় বড়সড়ো ঘোটালার অভিযোগ উঠল রাজধানীর জেল রোড স্থিত ক্ষুদিরাম বসু ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে। এই খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন স্যন্দন টিভির এক চিত্র সাংবাদিক। আক্রান্ত চিত্র সাংবাদিকের নাম বিষ্ণুপদ বণিক। মঙ্গলবার ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক মহলের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে তিনি বিদ্যালয়ে খবর সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন গত ২৩ মে ভর্তির দ্বিতীয় মেরিট লিস্ট প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল।

অথচ সেই মেরিট লিস্ট প্রকাশ না করেই মঙ্গলবার ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। এবং লক্ষ্য করা যাচ্ছে ২১ মে যেসব ছাত্রের নাম মেরিট লিস্টে ছিল সেসব ছাত্রের নাম পরবর্তী সময় তালিকা থেকে মুছে দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় অন্য ছাত্রের নাম যুক্ত করে মঙ্গলবার অগোচরে ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নিচ্ছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এবং তালিকায় নাম থাকা ছাত্র ছাত্রীদের বাড়ি ফিরে দিচ্ছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলে অভিযোগ। সেই খবর সংগ্রহ করার সময় আচমকা এক শিক্ষক এসে চিত্র সাংবাদিক বিষ্ণুপদ বণিকের হাত থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরবর্তী সময় অন্যান্য শিক্ষকরা এসে দাবি করেন সাংবাদিকরা যাতে বাইরে থেকে খবর সংগ্রহ করেন। ভেতরে প্রবেশ করা যাবে না। এদিকে এক অভিভাবক জানান, গতদিন যে মেরিট লিস্ট প্রকাশ হয়েছিল সেই মেরিট লিস্টের নাম থাকায় তারা আজকে নিজের ছেলেকে ভর্তি করতে আসেন। কিন্তু এসে জানতে পারেন সেটা নাকি মেরিট লিস্ট ছিল না। সেটা ছিল জেনারেল লিস্ট। ভর্তি করতে পারবে না নিজ ছেলেকে। এমনটাই জানতে পেরে হতাশ হয়ে পড়েন এক অভিভাবক। তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানান। শিক্ষক সমাজের মেরুদন্ড, অথচ আড়ালে এ ধরনের প্রতারণা ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কেন করা হচ্ছে সে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে অভিভাবকদের মুখে মুখে। এবং খবর সংগ্রহ করতে গেলে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার ছিনিয়ে নেওয়ার মতো চেষ্টা করে। এ ধরনের দুর্বৃত্তপনা ভূ-ভারতের কোন বিদ্যালয়ে আছে কিনা সেটা জানা নেই। সকলের একটাই জানার যে কি এমন রহস্য রয়েছে যে কাউন্সিলিং কক্ষে সাংবাদিকরা যেতে পারবে না? তাহলে কি ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবক মহলে তোলা অভিযোগ সত্যি? কি এমন আড়াল করার জন্য এ ধরনের প্রতারণার কলঙ্ক জড়িয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা? শুধু তাই নয় ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে পর্যন্ত তারা খেলা করছে। তাদের কারণে ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে পারে বহু শিক্ষার্থীর। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা না ভেবে এ ধরনের গোপন বোঝাপড়া কতটা অপরাধ সেটা একবারের জন্য ভাবলেন না তথাকথিত শিক্ষকরা। বিষয়টি নিয়ে যে বহুদূর জল গড়াতে পারে সেটাও জানা নেই তথাকথিত শিক্ষক শিক্ষিকাদের।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!