স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৩০ জুন : নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ চালু করে সরকার গুণগত শিক্ষায় ছেলেমেয়েদের প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে। আর এমন সুশাসন ত্রিপুরায় চড়িলাম স্থিত বড়জলা পূর্ব পাড়া ওয়ার্ড নং ৩ জেবি স্কুলের তালা খুলতে হয় পড়ুয়াদের। এতে বুঝা যায়, দায়িত্ব কর্তব্য ভুলতে বসেছে একাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকা। শিক্ষকতার মহান পেশাকে বদনাম করছেন এই সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
বলতে গেলে একেবারে দায়িত্ব কর্তব্য জলাঞ্জলি দিয়েছে। নাহলে কোন শিক্ষক-শিক্ষিকা এমন করতে পারেনা? মাসের ১ তারিখ মাইনে পাওয়ার পরেও নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলে আসেন না শিক্ষক শিক্ষিকারা। কচিকাঁচা ছাত্রছাত্রীরা সকাল থেকে এসে স্কুলের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকে। দেখা নেই শিক্ষক-শিক্ষিকার। উল্টো শিক্ষক শিক্ষিকারা কচিকাঁচার দের দিয়ে স্কুলের দরজার তলার চাবি খুলে।সোমবার সকালে চড়িলাম বিদ্যালয় পরিদর্শক এর অধীন বড়জলা পূর্ব পাড়া ওয়ার্ড নং ৩ জে বি স্কুলে গিয়ে এই দৃশ্য দেখতে পেয়ে অবাক হয়ে যায় খোদ সংবাদ প্রতিনিধি। কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা এমন কাজ করতে পারে। নিজেরা স্কুলে সময় মতো না এসে কচিকাঁচা শিশুদের দিয়ে স্কুলের দরজার তলার চাবি খুলছেন। অভিযোগ এই স্কুলের ইনচার্জ মনি ভূষন সরকার হামেশা স্কুলে দেরিতে আসেন। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাবু গল্পের বাবুর মত তিনি হেলতে দুলতে অনেক দেরি করে স্কুলে আসেন। তার কাছে স্কুলের কচিকাঁচাদের শিক্ষা দেওয়া বড় কাজ নয়। তার কাছে বড় হল মিড ডে মিলের খাওয়া থেকে কমিশন। এই স্কুলে তিন জন শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছে। প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রী রয়েছে ২৪ জন।
তবে স্কুলের শিক্ষিকা মমতা দেবনাথ প্রতিদিন সময় মতো আসার চেষ্টা করেন বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছে। ফাঁকিবাজ স্কুলের ইনচার্জ মনি ভূষন সরকার এবং অন্য আরেকজন শিক্ষক বলে অভিযোগ। এদের বিরুদ্ধে চড়িলাম বিদ্যালয় পরিদর্শকের অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী এমনটাই অভিমত শিক্ষানুরাগীদের। বিদ্যালয়ের একটি শিক্ষিকা জানান, বিদ্যালয় খোলার সময় সকাল সাড়ে সাতটা। আজ আসতে দেরি হয়েছে। কারণ উনার জুতা ছিঁড়ে গেছে। তিনি আরো অজুহাত দেখিয়ে বলেন ছাত্র-ছাত্রীরা নাকি সাড়ে আটটা, সাড়ে নয়টা সময় আসে। এখন দেখার বিষয় জেলা শিক্ষা আধিকারিক এর পক্ষে থেকে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।