স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ জুন : আসন্ন উপ নির্বাচনে ভোটাধিকার চিন্তা করে প্রয়োগ করবে চাকরিচ্যুতির শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা পালন করে নি। তাই আর অপেক্ষা করবে না চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। যারা পেটে লাথি মেরেছে তাদের বিরুদ্ধে যেমন ভোটাধিকার চিন্তা করে প্রয়োগ করবে তেমনি তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে নির্বাচনের প্রাক্ লগ্নে ময়দানে নামল চাকরীচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
সোমবার ১০,৩২৩ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকুরিতে পুনর্বহাল করা এবং মৃত শিক্ষক পরিবারের একজনকে ডাই হার হার্নেস স্কিমের মাধ্যমে চাকরি প্রদান করার দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হয় আমরা ১০,৩২৩ সংগঠন। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত সংগঠনের নেত্রী ডালিয়া দাস জানান, বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল চাকরীচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্থায়ী সমাধান করা হবে। এবং এই প্রতিশ্রুতিতে সামিল ছিলেন রবিবার ভোট প্রচারে আশা আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মাও। কিন্তু সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে সেই প্রতিশ্রুতি পালন করেনি সরকার। সরকারকে বহুবার অবগত করা হলেও সরকার অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে। সরকারের কাছে পুনরায় দাবি জানানো হচ্ছে সরকার যেন অবিলম্বে তাদের পুনর্বহাল করে। নাহলে গোটা রাজ্যে ঝড়ো আন্দোলনে নামবে বলে হুশিয়ারি দেন তিনি।
সরকারের এ ধরনের অমানবিকতার ফলে বহু শিক্ষক মৃত্যুর মিছিলে সামিল হয়েছেন। অন্ধকারে ডুবে গেছে তাদের পরিবার। সরকার যদি তার প্রতিশ্রুতি পালন না করে তাহলে ভোটের মাধ্যমে এর যোগ্য জবাব দেওয়া হবে বলে জানান ডালিয়া দাস। তিনি জানান যারা চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পেটে লাথি মেরেছে তাদের ভোট দেবে না আসন্ন উপনির্বাচনে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, তাহলে তারা শাসক দল বিজেপি’কে ভোট দেবে না বলে জানান তিনি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তিনি তাদের ডেকে নিয়ে বলেছিলেন তাদের জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু তিনিও প্রতিশ্রুতি পালন করেনি বলে জানান চাকরিচ্যুত শিক্ষিকা ডালিয়া দাস। পরবর্তী সময়ে একটি প্রতিনিধি দল পশ্চিম জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধনের কাছে ডেপুটেশন প্রদান করেন।