Friday, February 7, 2025
বাড়িরাজ্যশান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবি জানালো বামফ্রন্ট

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবি জানালো বামফ্রন্ট

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ জুন : রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্র উপ নির্বাচনের আগে বামেদের আবারো গুরুতর অভিযোগ। উপনির্বাচন প্রহসনে পরিণত করার চেষ্টা করছে শাসক দল বিজেপি। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহ নির্বাচনী প্রচারের শেষ লগ্ন যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পূর্ণ হয় তার জন্য নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বামফ্রন্ট।

 রবিবার সিপিআইএম রাজ্য কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা বললেন বামফ্রন্টের কনভেনার নারায়ণ কর। তিনি বলেন অতীত অভিজ্ঞতা থেকে নির্বাচন কমিশনারের দ্বারস্থ হতে হয়েছে। ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে যতগুলি নির্বাচন সংঘটিত হয়েছে সবগুলি প্রহসনে পরিণত হয়েছে। মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে নি। একই চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে আসন্ন উপনির্বাচনে আগে। নির্বাচকমণ্ডলী বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য বামেরা সি ই ও সাহায্য চেয়েছেন।

বামফ্রন্টের কাছে খবর রাজধানী বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রে বুথ দখল করার জন্য উদয়পুর এবং বিশালগড় থেকে লোক এনে সন্নিবেশিত করে বুথ দখল করতে প্রস্তুতি নিয়েছে বিজেপি। এদিকে মোহনপুর এবং জিরানিয়া মহকুমা কর্মীদের দিয়ে জৈনিক মন্ত্রীর নেতৃত্বে ৬ আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্র সম্পূর্ণ বুথ দখল করার প্রচেষ্টা করছে। এদিকে ধর্মনগর মহাকুমা যুবারাজনগর কেন্দ্রে কুমারঘাট, ধর্মনগর এবং পানিসাগর থেকে কর্মীদের দিয়ে অধ্যক্ষের নেতৃত্বে বুথ দখল করার চেষ্টা চলছে। এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এদিকে আমবাসায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা, মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব ঘাঁটি করে বসে কর্মী-সমর্থকদের দিয়ে সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন বাড়ির ঘরে প্রবেশ করে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। তাই সিইও কাছে দাবি জানানো হয়েছে তিনি যেন চারটি বিধানসভা কেন্দ্রর প্রত্যেকটা পোলিং বুথ হাইপার সেন্সিটিভ হিসেবে ঘোষণা করেন। আর এর জন্য আধা সামরিক বাহিনী এবং ওয়েব কাস্টিং সহ যা যা করার দরকার তা যেন তিনি করেন। প্রত্যেকটি পোলিং বুথে রাজ্য পুলিশ নয়, কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর দিয়ে যেন নির্বাচন সংঘটিত করা হয়। এবং সরব প্রচারে পর নির্বাচনী এলাকায় বাইরে দুর্বৃত্তদের যেন না থাকে। কারণ ইতিমধ্যেই ডাকবাংলো এবং বিভিন্ন হোটেল ভাড়া করে নিয়েছে বিজেপি। যাতে শাসকদলের দুর্বৃত্তরা নির্বাচন অব্দি তারা থাকতে পারে। নির্বাচন প্রচার শেষ হওয়ার সাথে সাথে নির্বাচন ক্ষেত্রে প্রবেশ করার সমস্ত রাস্তা যেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাতে বাইরের লোক মানুষ প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে চেকিং ব্যবস্থা করা হোক। এবং বিশেষ করে বাইক বাহিনী যাতে কোনভাবে সেসব এলাকায় পৌঁছাতে না পারে তার জন্য দুটির বেশি বাইক একসাথে এলাকায় প্রবেশ করতে না দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।   

আরো বলা হয়েছে বিরোধীদলের পুলিং এজেন্ট দের নিরাপত্তার দায়িত্ব সম্পূর্ণ সিইও -কে নিতে হবে। তারা ভোট কেন্দ্রে যাতায়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি আরও বলা হয়েছে ১৮ জুন দেখা গেছে যুবরাজ নগর ৩০ নং বুথে শাসকদলের অফিসে বসে নির্বাচন কর্মীরা ভোট প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। সে বিষয়টি তিনি সাথে সাথে তদন্ত করেছেন। এবং তিনি বলেছেন সেটা একটা বাজার সেড ছিল। বাজার সেডের মধ্যে শাসকদলের ফ্লাইট ফেস্টুন ছিল। এবং এটা সম্পূর্ণভাবে অন্যায় হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তারা এগুলি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এবং নির্বাচনী কাজ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

আরো বলা হয়েছে বড়দোয়ালি কেন্দ্রের কাউন্সিলর অলক রায় বাইক বাহিনী নিয়ে ৪০,৪১,৪২,৪৩ এবং ৪৪ নং বাড়ি বাড়ি ধমক দিচ্ছেন যাতে ভোট দিতে না যান। সিইও আশ্বস্ত করেছেন কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করবেন। প্রতিটি পোলিং বুথে আধা সামরিক বাহিনী থাকবেন। এবং ওয়েব কাস্টিং -এর ব্যবস্থা করা হবে। এর জন্য বি এস এন এল -কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এবং ২১ জন বিকাল পাঁচটায় নির্বাচনী এলাকাগুলোতে চেকপোস্ট বসানো হবে বলে সিইও জানিয়েছেন। আশ্বস্ত করেছেন আসন্ন নির্বাচন কালিমালিপ্ত হতে দেবেন না। অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হবে জানিয়েছেন। যে প্রতিনিধি দলটি সিইও সাথে সাক্ষাত করেছেন, এর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্টের কনভেনার নারায়ণ কর, সি পি আই নেতৃত্ব মিলন বৈদ্য, আরএসপি নেতৃত্ব দীপক দেব, ফরওয়ার্ড ব্লকের পক্ষ থেকে দুলাল দেব।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য