স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৭ জুন : শুক্রবার মোহনপুর স্থিত পশ্চিম তারানগরে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে চিন্ময় হরিহর ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের দ্বারোঘাটন হয়। একই সঙ্গে চিন্ময় সুন্দরী মন্দিরের ভূমি পূজা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক রতন লাল নাথ। মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা বক্তব্য রেখে বলেন, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য নিয়ে বর্তমান সরকার কোন রকম আপোষ করে না। ১০০ শতাংশ যাতে গুণগত শিক্ষা ছেলেমেয়েদের দেওয়া যায় তার জন্য সরকার চেষ্টা করছে। কারণ শুধুমাত্র পুঁথিগত বিদ্যা থাকলেই চলবে না। সমাজের যে সমস্ত সমস্যায় রয়েছে সেগুলি সমাধান করার জন্য জ্ঞান থাকতে হবে। শুধুমাত্র মাসেল দেখিয়ে কাজ হবে না। মাসেল দেখিয়ে সাময়িক মানুষকে দাবিয়ে রাখা যায়।
কিন্তু একজন জ্ঞানী ব্যক্তি যখন শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয় তখন সে যে কথাটি বলবে সেটা সমাজ গ্রহন করবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ রাজ্যে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্কুল কলেজে নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনা করানো হচ্ছে। এর জন্যই ত্রিপুরা বর্তমানে পূর্ণ সাক্ষর রাজ্য হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। গোয়া, মিজোরামের পর ত্রিপুরা পূর্ণ রাজ্য হিসেবে ঘোষণা হয়। এবং এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উল্লাস নব ভারত কার্যক্রমের জন্য। মুখ্যমন্ত্রী আর বলেন এক লক্ষ বাইশ হাজার ছাত্রীদের বাইসাইকেল প্রদান করেছে। এবার যারা দ্বাদশ উত্তীর্ণ হয়েছে বা ভালো ফলাফল করেছে তাদের মধ্যে ১৪০ জনকে স্কুটি প্রদান করা হয়েছে। চিফ মিনিস্টার স্কলারশিপও চালু করা হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য। এর সুবিধা দেওয়া হয়েছে প্রায় দুই শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে। রাজ্যে আগে ২২ টি সাধারণ ডিগ্রি কলেজ ছিল। আরো তিনটি সাধারণ ডিগ্রি কলেজ রাজ্যে তৈরি করা হচ্ছে।
পাশাপাশি রাজ্যে জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়, ট্রিপল আইটি, ফিসারী কলেজ এবং ফরেনসিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। সরকার শুধুমাত্র কলেজের স্থাপন করছে না, একই সঙ্গে ছেলে মেয়েদের আত্মনির্ভর করার মতো ব্যবস্থা করছে। মহিলা মহাবিদ্যালয় যাতে মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় করা যায় সেদিকেও পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ত্রিপুরায় বর্তমান সরকার শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে। যার কারণে বিভিন্ন বিনিয়োগকারীরা এখন ত্রিপুরায় আসতে চাইছে। সম্প্রতি টেট-২-র ফলাফল প্রকাশিত হয়। টেট-২-র ফলাফলে রাজ্যের মধ্যে নজির স্থাপন করেছে মোহনপুরের পাপন সূত্রধর। দৃষ্টিহীন হয়েও সে টেট-২ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। তার এই সাফল্যতে খুশি হয়ে তাকে সংবর্ধনা জানালেন এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী রতন লাল নাথ। পাপন সূত্রধর টেট-২ পরীক্ষায় ৩২ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম হয়। তার প্রাপ্ত নাম্বার ১২১। শুক্রবার তাকে মুখ্যমন্ত্রী দ্বারা মঞ্চে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।