স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৭ জুন : স্বচ্ছতার মাধ্যমে কিভাবে চাকরি দিতে হয় তার দৃষ্টান্ত গত কয়েক বছরে রেখেছে ত্রিপুরা সরকার। আগামী দিনেও সেই পথে এগোবে সরকার। শুক্রবার মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে চাকরির অফার প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখে একথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রেখে বলেন, কোন কর্মচারীকে কাজ দেওয়া হলে, সেই কর্মচারীকে “না” শব্দ পাশে সরিয়ে বলতে হবে “হ্যাঁ”, আমি করতে পারব। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাঝেমধ্যে দেখা যায় সুপার স্পেশালিস্ট রাজ্য থাকার পরেও রোগীদের বাইরে রেফার করা হয়। তাই সুপার স্পেশালিস্ট চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, তাহলে রাজ্যের সুপার স্পেশালিস্ট থেকে কি লাভ? সুপার স্পেশালিস্টদের যদি শেখার জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় তাহলে সেটা দিতে প্রস্তুত সরকার।
কিন্তু কর্মচারীদের শ্রম শক্তির দক্ষতা অবশ্যই বাড়াতে হবে। তাহলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, যারা চাকরি পেয়েছে তাদের কঠোর পরিশ্রমের জন্যই এই সফলতা এসেছে। তাদের সকলকে এবং তাদের পরিবারকে অভিনন্দন জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী তাদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, চাকরিতে যোগদান করার পর কেন্দ্র সরকার এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি যাতে গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়ন করেন। তাহলে সরকারের এই কর্মসূচি সাধারণ মানুষের কাজে আসবে। কারণ তাদের সকলকে মনে রাখতে হবে তারাও মানুষের প্রতিনিধি। মানুষের জন্য কাজ করার একটা প্লাটফর্ম পেয়েছেন সেটা মনে রাখতে হবে। বর্তমান সরকার এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দপ্তরে ড্রাই হারনেস সহ ১৯ হাজার ৪৮৪ জনকে চাকরি প্রদান করেছে। রাজ্য সরকার পুরোদমে চেষ্টা করছে যেসব দপ্তরে শূন্যপদ রয়েছে, সেগুলি পূরণ করার জন্য। শুক্রবার এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে লাইব্রেরিয়ান ১০৭ জন, এলডিসি ১৫ জন, গ্রুপ ডি দুজন এবং মাল্টিটাস্কিন স্টাফ ৯৮ জনকে অফার তুলে দেওয়া হয়েছে। মোট ২২২ জনকে অফার তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী চাকুরি প্রাপ্যদের হাতে আফার তুলে দেন। আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা এন সি শর্মা, বিশেষ সচিব হেমেন্দ্র কুমার সহ অন্যান্যরা।