Tuesday, February 11, 2025
বাড়িরাজ্যপ্রবীণ এবং দিব্যাঙ্গনদের বাড়িতে বসে ভোটাধিকার প্রয়োগ

প্রবীণ এবং দিব্যাঙ্গনদের বাড়িতে বসে ভোটাধিকার প্রয়োগ

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৭ জুন : উপভোটে নতুন নিয়ম চালু করেছে নির্বাচন কমিশন। যারা আশির উর্ধ্ব রয়েছেন বা দিব্যাঙ্গন তারা যাতে ঘরে বসেই ভোট দিতে পারেন। সেই মোতাবেক ঘরে বসেই ভোট দেওয়ার নতুন নিয়ম চালু হয়েছে। শুক্রবার থেকে ভোট কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটাধিকার সংগ্রহ করছেন। উপস্থিত ছিলেন সদর মহকুমার শাসক তথা রিটার্নিং অফিসার অসীম সাহা।

 শুক্রবার এবং শনিবার দুই দিন চলবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটাধিকার সংগ্রহ করার কাজ। ৬ আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রে ২৯১ জন এবং ৮ বড়দোয়ালি কেন্দ্রে ৩৯০ জন ভোটার পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে রাজি হয়েছেন। এর পাশাপাশি দিব্যাঙ্গজন ভোটার রয়েছেন। ভোটের আগে বাড়ি বাড়ি তাদের ফর্ম পাঠানো হয়েছিল। বিগত দিন ভোটের দিন বহু প্রবীণ ভোটারকে রাজনৈতিক দলের কর্মীরা গাড়িতে করে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসতেন। যাতে নিজ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। বহু কষ্ট করে ভোট দিতে আসতেন প্রবীণ ভোটাররা।

 কিন্তু যখন রাজনৈতিক কর্মীরা তাদের নিয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতেন তখন ভোটে কারচুপির অভিযোগ উঠছে। কিন্তু এবার আর এ ধরনের অভিযোগ তোলার কোনো সুযোগ নেই বলে চলে। কিন্তু এবার দেখা গিয়েছে পোস্টাল ব্যালট নিয়ে ভোট কর্মীরা সেসব প্রবীণ এবং দিব্যাঙ্গনদের বাড়ি বাড়ি হাজির হচ্ছেন। শুক্রবার তাদের বাড়িতে না পেলে দ্বিতীয় দিন শনিবার পুনরায় যাবেন ভোট কর্মীরা। ৬ আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রে ৮০ ঊর্ধ্ব ভোটারের সংখ্যা ৬৯৮ জন এবং ১৬৯ জন পি ডব্লিউ ডি ভোটার রয়েছেন। আর টাউন বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রে ৮০ ঊর্ধ্ব ভোটার রয়েছেন ৯১১ জন এবং ১২৫ জন পি ডব্লিউ ডি ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে ৩৯০ জন ভোটার বাড়িতে বসে টাউন বড়দোয়ালী বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট দিতে ইচ্ছে প্রকাশ করেন। এবং ২৯১ জন আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রে বাড়িতে বসে ভোট দিতে ইচ্ছে প্রকাশ করেন। কিন্তু জানা যায় সকলে বাড়িতে বসে ভোট দিতে রাজি নয়। এর মধ্যে টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্রে ৩৯০ জন এবং আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রে ২৯১ জন বাড়িতে বসে ভোট দিতে ইচ্ছে প্রকাশ করেন। ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রে এসেই উৎসবের মেজাজে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চান বহু প্রবীন। কিন্তু আবার অধিকাংশ প্রবীণ ঘরে বসে ভোট দিতে অত্যন্ত খুশি। ১৯ টি টিম ই-ভোট সংগ্রহের কাজে নিযুক্ত হন। সকাল আটটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত চলে ভোট সংগ্রহের প্রক্রিয়া। প্রতিটি টিমে দুজন পুল অফিসার, একজন ভিডিওগ্রাফার, সিভিল সেক্টর অফিসার এবং পুলিশ অফিসার ছিলেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য