স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২০ জুন : বর্তমান সরকারের আমলে সাত বছর পর প্রথমবার বৃদ্ধি পেল চা শ্রমিকদের মুজুরি। শুক্রবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এর ঘোষণা দেন শ্রম দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়। তিনি বলেন, চা বাগানের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির হার শেষবার বৃদ্ধি হয়েছিল ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসে। প্রাপ্তবয়স্কদের ১০৫ টাকা থেকে ১৭৬ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক দের ৫২.৫০ টাকা থেকে ৮৮ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
সম্প্রতি, চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সংশোধনের দাবির ভিত্তিতে রাজ্য সরকার, ৪৬-সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা স্বপ্না দাস পালের সভাপতিত্বে ছয় মাসের জন্য ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। ত্রিপুরার চা বাগানের কর্মসংস্থানে কর্মরত শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির হার সংশোধনের সুপারিশ করার সময় এই কমিটিকে সমস্ত দিক বিবেচনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কমিটি ন্যূনতম মজুরির হার সংশোধনের সাথে সম্পর্কিত বিদ্যমান সকল ধরণের কাজের ধরনগুলিও বিবেচনা করবে। এই কমিটি গত ২৮ মে চা শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি সংশোধনের জন্য স্বপ্না দাস পালের সভাপতিত্বে ও অন্যান্য সদস্যদের উপস্থিতিতে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, চা উন্নয়ন কর্পোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান সমীর রঞ্জন ঘোষ, আমন্ত্রিত সদস্য সঞ্জয় বাগচী সহ অন্যান্যরা। এরপর কমিটি সার্বিক দিক বিবেচনা করে রাজ্যের চা বাগান শ্রমিকের স্বার্থে, ন্যূনতম মজুরির হার ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি করার সুপারিশ করেছে, অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্ক কর্মীদের ১৭৬ টাকা থেকে ২০৪ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক কর্মীদের ৮৮ টাকা থেকে ১০২ টাকা করার। পরবর্তী পর্যায়ে উক্ত সুপারিশমূলে রাজ্য সরকার নিম্নে উল্লেখিত হারে চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির অনুমোদন প্রদান করেছে। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিক।