স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ জুন : ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডির সমন। আর এর জেরেই ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। আর এর জেরেই সকাল থেকেই সারা দেশে বিক্ষোভে সামিল হয় কংগ্রেস। এরই অঙ্গ হিসাবে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের উদ্যোগে নতুন নগর স্থিত ইডি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভে সামিল হয় প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।
উপস্থিত ছিলেন পিসিসি সভাপতি বীরজিৎ সিনহা, প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল রায়, কংগ্রেসের দুই প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মণ, আশিস সাহা সহ অন্যান্য কংগ্রেস কর্মীরা। কেন্দ্রীয় সরকারের ষড়যন্ত্রের ইডির নোটিশ প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন। দেশের নরেন্দ্র মোদি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর নিম্ন মানের রাজনীতি শুরু হয়েছে। রাহুল গান্ধী দেশবাসীর স্বার্থে সত্য কথা বলেছে। রাহুল গান্ধী কৃষক স্বার্থ, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারকে সজাগ করলে সরকার ক্ষিপ্ত হয়ে রাহুল গান্ধীকে অপমান করতে এই ধরনের চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেন কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মণ। তিনি আরো বলেন দেশের অর্থনীতি নরেন্দ্র মোদি সরকারের আমলে ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে।
তাই মিথ্যা অভিযোগে রাহুল গান্ধীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে গ্রেপ্তার করাতে চাইছে বিজেপি সরকার। এ ধরনের চক্রান্ত শুধু বিরোধীদের বিরুদ্ধে চলছে সারাদেশে। কিন্তু বিজেপি সরকারের কোনো নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কোন তদন্ত হয় না। দেশব্যাপী এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস ও তার তীব্র প্রতিবাদ জানায় বলে জানান তিনি। পাশাপাশি এদিন নরেন্দ্র মোদির কুশপুতুল বানিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানাই বিক্ষোভকারী কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। এদিন বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা, কংগ্রেস নেতা আশীষ কুমার সাহা, সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিকা সারিতা লাইফ্রাং সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। এদিন সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ বড়জলা কংগ্রেস কার্যালয় থেকে মিছিল সংঘটিত করে ই ডি অফিস যায় কংগ্রেস কর্মীরা।