স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ জুন : চার বছরে বদলেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দুইজন। চলছে একই আমলের তৃতীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কিন্তু বাম আমলে সংস্কৃতির যে রাজ্যে স্বাস্থ্যব্যবস্থা হাল রাম আমলেও বদলায় নি তা আবারও ফুটে উঠল মন্ডল নেতার বক্তব্য। এ যেন হাসপাতালের এক অসহায় পরিস্থিতি। সঠিক পরিষেবার অভাব। গত চার বছরে বহু নেতা-মন্ত্রী হাসপাতালে গেলেও সবটাই যে লোক দেখানো নাটক। সেটা কোন অংশে অস্বীকার করার মতো নয়। পরিষেবার যে এতটা বেহালদশা তা মন্ডল নেতার বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, উষা বাজার এলাকার বাসিন্দা তথা বড়জলা বিধানসভা কেন্দ্রের মন্ডল সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস বোনের চিকিৎসার জন্য জিবি হাসপাতালে নিয়ে যান মঙ্গলবার। কিন্তু সঠিক পরিষেবা না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। জানা যায় পেটে ব্যথা নিয়ে বোনকে চিকিৎসার জন্য জিবি হাসপাতালে নিয়ে আসেন তিনি। যথারীতি কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীকে ভর্তি রাখেন। কিন্তু যে পরিষেবা পাওয়ার কথা ছিল, তার ঠিক উল্টোটাই হলো। মৃতার ভাই মন্ডল নেতা বিশ্বজিৎ দাস বলেন জিবি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। চিকিৎসার জন্য যখন বোনকে নিয়ে আসেন তখন বলা হয় বেড নেই। নেই ডক্টর। সার্জিক্যাল ওয়ার্ডের জায়গায় রোগীকে মেডিসিন ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রোগীর অবস্থা ভালো না দেখে তৎক্ষণাৎ রোগীকে আই সি ইউ -তে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সমস্ত ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর শেষ রক্ষা করা গেল না। অবশেষে বুধবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে মৌসুমী রায় চৌধুরী নামে ৪০ বছরের গৃহবধূ।
শ্বশুড় বাড়ি এম বি টিলা এলাকায়। মৃত গৃহবধূর ভাই জানিয়েছেন চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার জন্যই তার বোনের মৃত্যু হয়েছে। জিবিতে সঠিক ব্যবস্থা নেই। এটা কাঙ্খিত নয়। সমস্ত কিছু বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়। ডাক্তার দেখতে আসেনি বলে অভিযোগ। জুনিয়ার ডাক্তার দিয়ে চলছে আই সি ইউ। এই ঘটনা শুনে এলাকার বিধায়ক ডঃ দিলীপ দাস জিবি হাসপাতালে যান। তিনি এসে দেখেন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বিকাশ দাস ২০১৮ সালের সবকা সাথ সবকা বিকাশের সদস্য হয়ে হাসপাতালে পরিষেবার এতটা নগ্ন দশা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে জিবির পরিষেবা নিয়ে কোন কিছু বলতে চান নি বিধায়ক ডাঃ দিলীপ দাস।