Friday, February 7, 2025
বাড়িরাজ্যমানুষের কাছে পৌঁছাতে ঘাসফুলের ত্রিপুরা ফাইলস

মানুষের কাছে পৌঁছাতে ঘাসফুলের ত্রিপুরা ফাইলস

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ জুন : রাজ্যে বিজেপিকে হারাতে একমাত্র শক্তি তৃনমূল কংগ্রেস। কংগ্রেস এবং সিপিআইএম বিজেপি’কে হারাতে অক্ষম। যা পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে স্পষ্ট। পশ্চিমবঙ্গে বিগত বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএম এবং কংগ্রেস যৌথভাবে বিজেপির শক্তি জোগাতে সাহায্য করেছে। কিন্তু তারপরেও তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বিজেপি পরাজিত হয়েছে। তাই ত্রিপুরার মাটিতে সর্ব বৃহৎ শক্তি বিজেপি’কে হারাতে পারে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস।

 তাই রাজ্যবাসী যাতে তৃণমূল কংগ্রেসের উপর আস্থা রেখে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে সহযোগিতা করে। মঙ্গলবার আগরতলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে বিজেপি সরকারের আমলে মানুষের কোন স্বাধীনতা নেই। নরক যন্ত্রণায় ভুগছে মানুষ। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরিভাবে ভেঙে পড়েছে। একমাত্র জিবি হাসপাতাল রয়েছে। সেখানেও নেই পর্যাপ্ত পরিমাণে জীবনদায়ী ওষুধ, নেই চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী। বিদ্যালয়গুলিতে নেই পর্যাপ্ত পরিমাণে শিক্ষক শিক্ষিকা। প্রত্যন্ত এলাকা গুলোতে নেই পানীয় জল, বিদ্যুৎ পরিষেবা। সুতরাং বামফ্রন্ট এবং বিজেপি কেউই রাজ্যের মানুষকে উন্নত পরিষেবা দিতে পারিনি। শুধুমাত্র ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এমনকি বিজেপি সরকারকে চার বছরে ব্যর্থ হয়ে মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন করতে হয়েছে। তাই এই সরকারের বিকল্প যদি থেকে থাকে তাহলে সেটা হল তৃণমূল কংগ্রেস বলে জানান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় শিল্পের সম্ভাবনা রয়েছে।

অর্থনৈতিকভাবে রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু কোন আমলে রাজ্যকে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করেনি সরকার। এমনকি মহিলাদের অগ্রাধিকার সহ শান্তি সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রতিষ্ঠা করা। আসন্ন উপ নির্বাচনের পর আগামী আট মাস পর সাধারণ বিধানসভা নির্বাচন। তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যবাসী জন্য শান্তি সম্প্রীতি গণতন্ত্র এবং কর্ম প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য প্রতিশ্রুতি বদ্ধ বলে জানান তিনি। আসন্ন উপনির্বাচনের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের সমর্থন করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন রাজীব ভট্টাচার্যী। তিনি বলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হলে মানুষের উপর পশ্চিমবঙ্গের মতো ত্রিপুরা কোন করের বোঝা না চাপিয়ে সমস্ত প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গের মতো ত্রিপুরায় বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান তিনি। ত্রিপুরার মানুষ স্বাধীনতার পর থেকে অনেক দুর্দশায় রয়েছে। ত্রিপুরার মানুষ স্বাধীনতার পর থেকে অনেক বৈষম্যের শিকার হয়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বিপন্ন রয়েছে। তাই মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ত্রিপুরা ফাইলসের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়। এর মাধ্যমে প্রতিদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে এসে রাজ্যের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা কথা তুলে ধরা হবে বলে জানান তিনি। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ সুস্মিতা দেব জানান, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ত্রিপুরা ফাইলস বলে একটা সিরিজ রয়েছে। যেখানে বিগত ৮ মাস পুর নিগমের নির্বাচনের আগে থেকে যে সমস্যাগুলো জনসাধরণের মনের ভেতরে উঠে আসছে, সেটা স্বাস্থ্য হোক বা অনান্য সমস্যা হোক, সেগুলো নিয়ে মানুষের মধ্যে যাওয়ার দরকার আছে আগামী ২৩ জুনের নির্বাচনের জন্য। ত্রিপুরা ফাইলস দেখবেন, মানুষের সমস্যা এবং বিচার করে আগামী দিনে কোন দলকে ভোট দিলে কিভাবে সমস্যার সমাধান হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ সভাপতি সুবল ভৌমিক সহ উপনির্বাচনের মনোনীত প্রার্থীরা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য