স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ জুন : রাজন্য স্মৃতি বিজড়িত ত্রিপুরার ঐতিহ্যবাহী মিলন উৎসব খার্চি পূজা আজ রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে দেশে ও বিদেশে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বহু প্রাচীনকাল থেকেই ত্রিপুরায় ঐতিহ্য এবং পরম্পরা মেনে চতুর্দশ দেবতার মন্দিরে খার্চি পূজার আয়োজন করা হয়। বিগত দুবছর কোভিডের কারণে খার্চি পূজার মিলন মেলার আয়োজন করা হয়নি। শুধুমাত্র রীতি মেনে পূজার্চনা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এবছর পরিস্থিতি অনুকূলে থাকায় খার্চি পূজাকে কেন্দ্র করে উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। এনিয়ে খার্চি পূজার মিলন উৎসবকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে আজ পরিকল্পনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, আগামী ৭ জুলাই থেকে পুরাতন আগরতলার চতুর্দশ দেবতাবাড়িতে শুরু হবে খার্চি পূজা। চলবে সাত দিন ব্যাপী। মঙ্গলবার খয়েরপুরের গীতবিতান হলঘরে পুরাতন আগরতলার চৌদ্দ দেবতা মন্দিরে “খার্চি পূজা উৎসব-২০২২” -এর প্রস্তুতি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী, মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, বিধায়ক ধীরেন্দ্র দেববর্মা। বৈঠকের পর মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান, খার্চি পূজা জাতি জনজাতিদের ঐতিহ্যবাহী পুজো। প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও গোটা চতুর্দশ দেবতা মন্দির নতুন রং দিয়ে রাঙিয়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। মন্দির সহ হাবেলি পার্ক, মিউজিয়াম, হাবেলি লেক নানা রংয়ের আলোকময় সাজানো হবে। এ বছর খার্চি পূজা উৎসব ও মেলায় শতাধিক দোকানিরা তাদের পসরা সাজিয়ে বসার জন্য স্টল নির্মাণ করা হবে। মেলা প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্থানে বসানো হবে সিসি ক্যামেরা। পুলিশ, টিএসআর বাহিনীর পাশাপাশি সিভিল ডিফেন্স, স্কাউটস অ্যান্ড গাইড কর্মী, স্বেচ্ছাসেবী কর্মী সহ সাদা পোশাকের কর্মীদের নিয়োগ করা হবে। যেকোনো ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এড়াতে মেলা প্রাঙ্গণে অস্থায়ী অগ্নিনির্বাপণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। মেলায় আসা কোন দর্শনার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁদের জন্য চিকিৎসা কেন্দ্র এবং জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
আরো বলেন প্রতিবছরের মতো উৎসব প্রাঙ্গণে সাত দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। শতাধিক শিল্পী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। আর এর জন্য বৈঠকে জোর প্রস্তুতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা দেব সরকার, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, পশ্চিম জেলার জেলা শাসক দেবপ্রিয় বর্ধন, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস, অগ্নিনির্বাপক দপ্তরের অধিকর্তা, কাউন্সিলার উত্তম কুমার ঘোষ, জিরানিয়া মহকুমার মহকুমা শাসক জীবন কৃষ্ণ আচার্য্য সহ প্রশাসনিক অন্যান্য আধিকারিকেরা।