Saturday, April 20, 2024
বাড়িরাজ্যসি.পি.আই.এম কর্মী-সমর্থকদের উপর আক্রমণের ঘটনায় রাস্তা অবরোধ

সি.পি.আই.এম কর্মী-সমর্থকদের উপর আক্রমণের ঘটনায় রাস্তা অবরোধ

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ জুন : রাজধানীর রাধানগর এলাকায় বাইক বাহিনীর তান্ডব ঘিরে রাস্তা অবরোধের সামিল হয় সিপিআইএম কর্মী-সমর্থকরা। অভিযোগ সি.পি.আই.এম কর্মী সমর্থকরা এদিন সকালে এলাকায় ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন সহ নির্বাচনী প্রচার সজ্জা দিয়ে এলাকা সাজিয়ে তোলার কাজ করছিল। তখন শাসক দলে বাইক বাহিনী এসে সিপিআইএম কর্মী সমর্থকদের মারধর করে। নষ্ট করে দেওয়া হয় প্রচার সজ্জা বলে অভিযোগ।

 ঘটনার পর তীব্র প্রতিবাদে রাধানগর এলাকায় রাস্তা অবরোধে সামিল হয় সিপিআইএম কর্মী-সমর্থকরা। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ শংকর প্রসাদ দত্ত। পরবর্তী সময় ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে পুলিশ এবং টি.এস.আর। মহকুমা পুলিশ আধিকারিককে আশ্বাসের পর রাস্তা অবরোধ প্রত্যাহার করে সি.পি.আই.এম কর্মী সমর্থকরা। শংকর প্রসাদ দত্ত জানান, এদিন আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রের সি.পি.আই.এম মনোনীত প্রার্থী কৃষ্ণা মজুমদারকে জয়যুক্ত করার জন্য এলাকায় প্রচার সজ্জা লাগানোর কাজ চলছিল। তখন বিজেপি’র বাইক বাহিনী এসে সি.পি.আই.এম কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা করে। এতে কয়েকজন কর্মী সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছে।

এবং সি.পি.আই.এম কর্মী সমর্থকদের কাছ থেকে প্রচার সজ্জা সহ টাকা-পয়সার সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। আহত হওয়া ৪-৫ জনকে সাথে সাথে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শহরে প্রাণকেন্দ্রে এভাবে আক্রমণের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদে এবং ঘটনার সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সি.পি.আই.এম কর্মীসমর্থকরা রাস্তা অবরোধ করেছে বলে জানান শংকর প্রসাদ দত্ত। তিনি আরো বলেন, এদিন হামলার ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের যাতে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয় তার জন্য পুলিশের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। নাহলে পুনরায় বুধবার পথ অবরোধের সামিল হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। পুলিশের কাছে আরো দাবি জানানো হয়েছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন যাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে ভূমিকা গ্রহণ করে। আসন্ন নির্বাচনে যাতে শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধীদল বলে মত প্রকাশ করতে পারে তার জন্য দাবি জানানো হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধের ফলে রাস্তার দু’পাশে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে পড়ে কয়েক শতাধিক গাড়ি। এদিকে সি.পি.আই.এম কর্মী-সমর্থকরা প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা শান্তিপূর্ণভাবে উপনির্বাচন সংগঠিত করা আশ্বাস দেওয়ার পরেও এই ধরনের হামলা হুজ্জুতি ঘটনা কেন রাজ্যে সংঘটিত হচ্ছে। তিনি গত কয়েক দিনে একাধিকবার বলেছেন শান্তিপূর্ণভাবে নির্বিঘ্নে ভোট সম্পন্ন করতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে কোনোভাবেই বিঘ্নিত না হয় সেদিকে নজর রাখা হবে। কিন্তু সাতসকালেই এভাবে বিরোধী রাজনৈতিক কর্মী সমর্থকদের উপর হামলার ঘটনা কিসের সংকেত। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য