স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ জুন :উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রার্থী ঘোষণা হয়নি। ফলে ৮ নং টাউন বড়দোয়ালী বিধানসভা কেন্দ্রের মনোনীত প্রার্থীকে পরিবর্তন করে মহিলা প্রার্থী নাম ঘোষণা করেল তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা করতে চাইছে না তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের ক্যাম্পে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রদেশ সভাপতি সুবল ভৌমিক বলেন, ৮ নং টাউন বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রের মনোনীত প্রার্থী নীলকমল সাহার পরিবর্তে সংহিতা ব্যানার্জিকে করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ দিয়েছেন যাতে ৫০ শতাংশ আসনে মহিলারা লড়াই করে নারীদের সম্মান রক্ষার জন্য বড় ভূমিকা পালন করা হয় বলে জানান সুবল ভৌমিক। তিনি আরো বলেন তৃণমূল কংগ্রেস যাদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন তাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। রাজ্যের স্বৈরশাসন অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থীরা লড়াই করে জয়ী হবে বলে আশা ব্যক্ত করুন তিনি। পাশাপাশি এদিন তিনি অবাধ শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানান। রাজ্যের মানুষ আতঙ্কে আছে। বিগত চার বছরে রাজ্যের লোকসভা নির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচন, পুর সংস্থার নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে প্রহসনে পরিণত হয়েছিল। গায়ের জোরে নির্বাচন করেছে শাসক দল বিজেপি। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন আসন্ন উপনির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা যাতে সঠিকভাবে পরিচালনা হয় তার জন্য কঠোর হস্তক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
এতে তৃণমূল কংগ্রেস আশাবাদী শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সংঘটিত হবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা অনেকটাই দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হচ্ছে। শহরের তৃণমূল কংগ্রেসের বহু পতাকা খুলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু নির্বিকার নির্বাচন কমিশন। কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে বলে অভিযোগ তোলেন সুবল ভৌমিক। আসন্ন উপনির্বাচনে কংগ্রেস এবং তিপ্রা মথা মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। তারা বলছে কোন কোন বিধানসভা কেন্দ্রে তারা একে অপরকে সমর্থন করবে। কিন্তু কংগ্রেস জনগণের সামনে ষ্পষ্ট করে বলছে না তারা মথার গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের দাবি সমর্থন করে কিনা। কিন্তু এতে করে মানুষের মধ্যে নয়া প্রশ্ন উঠছে বলে জানান সুবল ভৌমিক। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন মনোনীত প্রার্থী সংহিতা ব্যানার্জি, পান্না দেব সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।