স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৭ মে : ১২ জন শিক্ষককে ডেকে এনে টিউশনি না করার মুচলেকা নিলেন বিলোনিয়া বিদ্যালয় পরিদর্শক। তবে শিক্ষকদের দাবি তারা টিউশনি করেন না। বিলোনিয়া মহকুমা জুড়ে ঝাঁকিয়ে বসছে সরকারি শিক্ষকদের টিউশন বানিজ্য। উদাসীন বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা। সরকারি শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশন করছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য জেলা ও মহকুমা স্তরে শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হলেও কোন হেলদোল নেই। যার ফলে সরকারি শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে ঠিকভাবে পঠন পাঠন না দিয়ে বাড়িতে অথবা ইনস্টিটিউট খুলে বসেছে বিদ্যা ব্যাবসার জন্য। এমনকি স্কুলে গিয়ে কোন মতে রেজিস্টার খাতায় স্বাক্ষর করে স্কুল থেকে বেরিয়ে বিদ্যা ব্যাবসায় নিজেকে নিয়োজিত রাখছে বলে অভিযোগ উঠে এসেছে একাংশ সরকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। সরকারি শিক্ষকরা করতে পারবে না প্রাইভেট টিউশন।
রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের এই ফরমানকে তোয়াক্কা না করে এক প্রকার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দেদার চালিয়ে যাচ্ছেন বিদ্যা ব্যাবসা। সবকিছু জেনে শুনে জেলা বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের হেলদোল না থাকায়। অবশেষে সোচ্চার হলো বিলোনিয়া মহকুমার রাজনগর ব্লক এলাকার লোকজন সহ বেকার গৃহ শিক্ষিকরা। সরকারি শিক্ষকদের টিউশন বানিজ্য নিয়ে জেলা শিক্ষা আধিকারিকের নিকট অভিযোগ পত্র পাঠিয়ে এর ব্যাবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ১২ জন সরকারি শিক্ষককে বিলোনিয়া স্কুল পরিদর্শক কার্যালয়ে আসার জন্য শোকজ নোটিশ জারি করা হয়। সেই মূলে মঙ্গলবার দুপুরে বারো জনের মধ্যে এগারো জন শিক্ষকরা স্কুল পরিদর্শক কার্যালয়ে এসে মুচলেকা জমা দেন, যে তারা প্রাইভেট টিউশন করেন না। রাজনগর ব্লকের সোনাপুর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়, বড়পাথরী দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়, হরিপুর এসবি স্কুল, মন পাথর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, অজগর রহমানপুর উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নাসিরনগর উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাগান বাড়ি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্কুলের একাংশ শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যা ব্যাবসার অভিযোগ উঠেছে। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা এই সংবাদের ভিত্তিতে স্কুল পরিদর্শক কার্যালয়ে গিয়ে, স্কুল পরিদর্শকের সাথে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে, তিনিও স্বীকার করেছেন কিছু কিছু সরকারি শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশন করাচ্ছে। এই নিয়ে কমিটি তদন্ত করবে। এই দিকে যে সকল সরকারি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে টিউশন বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে সেই শিক্ষকরা জানান তারা কোন টিউশন করেন না। তবে তাঁরাও স্বীকার করেছে এখনো অনেক সরকারি শিক্ষক প্রাইভেট টিউশন করছেন। এবং যে একজন শিক্ষক এজন্য অনুপস্থিত ছিলেন তিনি সিপাহীজেলা জেলার এক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। এই ১২ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে দপ্তরের কাছে সমস্ত তথ্য প্রমাণ রয়েছে বলে জানা যায়।