Friday, June 13, 2025
বাড়িরাজ্যবর্তমান সরকারের আমলে কোন নেতার হাত ধরে চাকরি হয় না : মুখ্যমন্ত্রী

বর্তমান সরকারের আমলে কোন নেতার হাত ধরে চাকরি হয় না : মুখ্যমন্ত্রী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২১ মে : বুধবার আগরতলা প্রজ্ঞা ভবনে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাজ্যের ১৫ জন যোগ্য প্রার্থীকে ফুড ইন্সপেক্টর পদের অফার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, আধিকারিক ইউকে চাকমা সহ অন্যান্যরা।

অনুষ্ঠানের বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দক্ষতার সাথে উত্তীর্ণ হয়ে চাকুরী পাচ্ছে যুবক যুবতীরা। কেউ বলতে পারবে না কোন নেতাকে ধরে তাদের চাকরি হয়েছে। আজকের দিন পর্যন্ত বর্তমান সরকার ডাই হারনেস সহ ১৯ হাজার ২৬২ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন চাকুরী হয় না বলে যে হইচই হচ্ছে সেটা পূরণ করছে সরকার। তবে শুধু চাকরি দিয়ে বেকার সমস্যার সমাধান করা যাবে না। এর জন্য রাজ্যের ছেলেমেয়েদের স্বনির্ভর করতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে সরকার। এর পাশাপাশি কর্মচারীদের সমস্যা যাতে না হয় তার জন্য কন্ট্রাকচুয়াল নিয়োগ করা হচ্ছে।

বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে খাদ্য দপ্তর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি দপ্তর। এই দপ্তরের কর্মীরা নির্লসভাবে দায়িত্ব পালন করে চলেছে। এবং কোনরকম সমস্যা হলে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে খাদ্য দপ্তরের কর্মীরা দায়িত্ব পালন করে। বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর কৃষকদের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের আয় কিভাবে দ্বিগুণ করা যায় সেদিকে নজর দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে বর্তমান সরকার কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয় করছে। বছরে দুবার কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হয়। এখন পর্যন্ত ২ লক্ষ ২৫ হাজার মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হয়েছে। এর জন্য সরকার কৃষকদের এম এস পি দিয়েছে ৪৪৬ কোটি টাকা।

এই টাকা বেনিফিশিয়ারি কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টের সরাসরি দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে ২০১৮ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে এখন পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার ৮০০ এলপিজি সংযোগ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আর বলেন গণবণ্টন ব্যবস্থা শক্তিশালী করার অঙ্গ হিসেবে খুব দ্রুত রেশন হোল্ডারদের পিভিসি রেশন কার্ড দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর রক্তদান প্রসঙ্গে বলেন, রাজ্যে জনসংখ্যা অনুযায়ী ৪০ হাজার ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হয় প্রতি বছর। বিগত বছর দেখা গেছে ৪২ হাজার ইউনিট রক্ত সংগ্রহ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আর বলেন মাঝেমধ্যে রক্ত স্বল্পতা দেখা যায়। কিন্তু রাজ্যের মানুষ রক্তদানে উৎসবে মেজাজ এগিয়ে এসে রক্তস্বল্পতা এগোতে দেয় না। বিশেষ করে কোভিডের সময় রক্ত সংকট সৃষ্টি হয়েছিল। তখন মানুষের কাছে আহ্বান জানানোর পর মানুষ এগিয়ে এসে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রক্তদান করেছে। আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী চাকরির যোগ্য প্রার্থীদের হাতে অফার তুলে দেন। তারা আগামী দিন নির্লস ভাবে জনগণের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। এদিন এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। শিবিরে প্রায় দেড় শতাধিক রক্তদাতা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য