স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩১ মে : রবিবার পঞ্জাবের মানসা জেলায় জওয়াহরকে গ্রামের বাড়িতে ফেরার পথে সিধু মুসেওয়ালার গাড়ি ঘিরে গুলি চালায় আততায়ীরা। তাঁর দেহে আটটি গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। শনিবারই পঞ্জাবে ৪২৪ জনের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল সে রাজ্যের আম আদমি পার্টির সরকার।
তার মধ্যে ছিলেন এই কংগ্রেস নেতাও। তাই এবার আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে সরব হয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের যুব এবং ছাত্র সংগঠন। মঙ্গলবার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনের সামনে সিধু মুসেওয়ালার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানায় প্রদেশ এন এস ইউ আই। তার মৃত্যুতে গভীরভাবে শোক জ্ঞাপন করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা জানান, কংগ্রেস নেতা সিধু মুসেওয়ালার খুন হওয়ার প্রতিবাদে প্রদেশ এন এস ইউ আই পক্ষ থেকে দাবি জানানো হচ্ছে অবিলম্বে আততায়ীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ঘটনা। বিজেপি সরকারের কারণে কংগ্রেস নেতারা আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। কিছুদিন আগে সিধুর নিরাপত্তা রক্ষী তুলে নেওয়া হয়েছিল। যদি সরকার সিধুর নিরাপত্তা না তুলতো তাহলে এভাবে মৃত্যু হতো না বলে অভিযোগ তুলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। এদিকে এদিন দুপুরে প্রদেশ যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী কুশপুতুল পড়ে তীব্র প্রতিবাদে সামিল হয়। প্রদেশ যুব কংগ্রেস অভিযোগ তোলেন পাঞ্জাবে আপ পার্টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪০ জনের অধিক কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছে। প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সিধুর উপর আততায়ীদের হুমকি থাকার পরও পাঞ্জাবের আপ পার্টি সিধু নিরাপত্তা রক্ষী প্রত্যাহার করেছিল। এবং সিধু খুনের ঘটনাটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত বলে অভিযোগ তোলে রাখু দাস। এর বিরুদ্ধে এন আই এ তদন্তের দাবি জানায় যুব কংগ্রেস। নাহলে আগামী দিন দেশে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে জানান রাখু দাস।