স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৯ মে : নেশা মুক্তি কেন্দ্রে এক যুবককে প্রচন্ড মারধর করার অভিযোগ। পরে সন্তানকে বাড়িতে নেবার আগ্রহ প্রকাশ করতে, অভিভাবকদের তরফে এনজিওকে দিতে হয়েছিল ১০,০০০ টাকা। তারপরও একপর্যায়ে অর্ধ মৃত অবস্থায় নেশা মুক্ত কেন্দ্র থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় পরিবারের। বর্তমানে হাঁপানিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বছরে একুশের যুবক এমডি রাকিব। এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগটি উঠে উদয়পুর মহকুমাধীন টেপানিয়া এলাকায় সেরিন এন্ড সোবার ফাউন্ডেশন নেশা মুক্ত ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নামক একটি সেন্টারে বিরুদ্ধে। যার ডাইরেক্টর হলেন প্রসেনজিৎ বণিক।
অভিযোগ, বিশালগড় থানাধীন কড়ই মোড়া এলাকার বছর একুশের যুবক এমডি রাকিব গত কয়েক মাসে সে ড্রাগসের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ মে এমডি রাকিবকে সুস্থ করার জন্য তুলে দেওয়া হয় টেপানিয়া স্থিত সেরিন এন্ড সোবার ফাউন্ডেশন নেশা মুক্ত কেন্দ্রে। কিন্তু সুস্থ হওয়া তো দূরের কথা, মাত্র দুই দিনের মাথায় প্রায় একপর্যায়ে অর্ধ মৃত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধ্য হয় তার পরিবার। তার মুখে গলায় পায়ে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। বর্তমানে হাপনিয়া হাসপাতালে দুদিন যাবত একপর্যায়ে বেহুশ ছিল এমডি রাকিব প্রায় তিন দিনের মাথায় হুশ ফিরে বলে দাবি করেন আক্রান্ত যুবকের পরিবার। পরিবারের আরো অভিযোগ, দুইদিনে তার উপর চলে অমানবিক শারীরিক নির্যাতন। তাকে অনাহারে রাখা হয়েছিল। আক্রান্ত যুবকের পরিবার আইনের দ্বারস্থ হবে বলে সংবাদকর্মীদের জানান। আক্রান্ত রাকিব সেন্টারে মাত্র দুইদিন ছিল। তাকে আনতে গেলে সেন্টার কর্তৃপক্ষ তার পরিবারের নিকট থেকে দশ হাজার টাকা দাবি করে। অন্যথায় তাকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।