স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৬ মে : গ্রীষ্মকালীন ছুটির মধ্যেই বিশেষ পরিকল্পনা করে রাজ্যের সমস্ত বিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করা, অবিলম্বে বিদ্যাজ্যোতি বিদ্যালয় গুলিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিষয়-ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ করা, মাইগ্রেশন সার্টিফিকেটের নামে ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে এক হাজার টাকা নেওয়া চলবে না, শিক্ষার সকল স্তরে ফি মকুব করা সহ সাত দাবিতে শুক্রবার শিক্ষা দপ্তরে ডেপুটেশন প্রদান করল এ.আই.ডি.এস.ও। ডেপুটেশন প্রদান করার আগে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখায় এ.আই.ডি.এস.ও -র কর্মী সমর্থকরা।
এই বিষয়ে এ.আই.ডি.এস.ও রাজ্য কমিটির সভাপতি রামপ্রসাদ আচার্য জানান, গত ১ এপ্রিল থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষ চালুর দুইমাস অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরও রাজ্যের বহু স্কুলে সব বিষয়ে পাঠ্যবই পৌঁছায় নি। নামমাত্র ১-২ টি বই, কোথাও আবার শুধুমাত্র ওয়ার্ক বুক দেওয়া হয়েছে। অথচ আগামীকাল ১৭ মে থেকে রাজ্যের বিদ্যালয়গুলিতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হবে। এই অবস্থায় ছাত্রছাত্রীদের কাছে পাঠ্যপুস্তকের অপ্রতুলতা পড়াশোনার প্রতি অনীহা সৃষ্টি করবে। শিক্ষা দপ্তরের এহেন ঢিলেঢালা মনোভাবের তীব্র প্রতিবাদ জানায় এ.আই.ডি.এস.ও ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি। দ্রুত ছাত্রছাত্রীদের নিকট সমস্ত পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করার জন্য। পরিকল্পনাহীন ভাবে নবম শ্রেণী থেকে ইংরেজী মাধ্যমে পঠনপাঠন শুরু করলেও বেশিরভাগ বিদ্যাজ্যোতি স্কুলেই ইংরেজি ভাষায় পড়ানোর মতো যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা নেই।
একই সাথে রয়েছে বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকের অভাব। রাজ্য সরকার টিবিএসই পরিচালিত ১২৫ টি বিদ্যালয়কে বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের আওতায় এনে সিবিএসই-র হাতে তুলে দেয়। ফলে অনেক সাধারণ ঘরের ছাত্র ছাত্রী বিদ্যাজোতি স্কুল ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। বিদ্যালয় পরিবর্তন করে ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত বিদ্যালয়গুলির মধ্যে ভর্তি হতে হলে ছাত্রছাত্রীদের এক হাজার টাকা দিয়ে মাইগ্রেশন সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এইভাবে ছাত্রছাত্রীদের উপর চরম আর্থিক বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয় প্রতিবছর শিক্ষার সকল স্তরে ফি বৃদ্ধি ঘটছে। এমতাবস্থায়, সরকারী শিক্ষা ব্যবস্থা রক্ষার্থে এআইডিএসও ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি নিম্নলিখিত দাবিগুলো উত্থাপন করছে।