Friday, March 29, 2024
বাড়িরাজ্যস্মার্ট সিটি হাসির খোরাক : মানিক

স্মার্ট সিটি হাসির খোরাক : মানিক

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ মে : বামফ্রন্ট সরকারের সময় স্মার্ট সিটির জন্য ১৯২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। এর জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। পরে রাজ্য সরকার পরিবর্তন হয়। কিন্তু তারপরে কেন্দ্র দেওয়ার কথা ছিল ৫০০ কোটি টাকা এবং রাজ্য দেওয়ার কথা ৫০০ কোটি। সর্বমোট হলো এক হাজার কোটি টাকা। কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে বর্তমান সরকার ১৯২ কোটি টাকার পর ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকার বেশি আনতে পারেনি। কারণ বর্তমান সরকারের ৫০ মাসে ৫০০ কোটি টাকা এখনো কেন্দ্র থেকে রাজ্যে আসে নি।

 সর্বমোট আড়াইশো কোটি টাকা কেন্দ্র দিয়েছে। এদিকে রাজ্য সরকার ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকার অধিক দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। তাহলে দেখা যাচ্ছে ১ হাজার কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ৩০০ কোটি টাকা স্মার্ট সিটির বরাদ্দ করা হয়েছে। বাকি টাকা কেন আদায় করা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শনিবার সিপিআইএম রাজ্য কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রশ্ন তুলেন মানিক দে। তাহলে স্মার্ট সিটির জন্য যে কাজ করার কথা তা কিভাবে করবে রাজ্য সরকার। ২০১৪ সালে একটা অংশ পঞ্চায়েত এলাকা আগরতলা শহরের সাথে যুক্ত করা হয়েছিল । এবং শেষ অংশটা আগরতলা স্মার্ট সিটির সাথে যুক্ত হয়েছে। তবে আম্মুত প্রকল্পের জন্য তৎকালীন সময়ে ১০০ কোটি টাকা উপরে এসেছিল। সে টাকা ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তা জানা নেই। যদি ব্যয় করা হতো তাহলে পানীয় জলের সংকট থাকার কথা নয় বলে জানান তিনি। পাশাপাশি তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের আমলে প্রধান রাস্তাগুলি প্রশস্ত করে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার জন্য ৭৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করার পর বিদ্যুৎ নিগমকে কাজ শুরু করার জন্য বলা হয়েছিল। পাশাপাশি শহর পরিষ্কার পরিছন্নতা আছে কিনা সে বিষয়ে নাগরিককে বলতে পারবে। শহরে বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি মার্কেট করা হয়েছিল ।

 যাতে সেখানে হকারদের পুনর্বাসন দেওয়া যায়। কিন্তু বর্তমানে যত হকার উচ্ছেদ হচ্ছে তাদের জন্য কোনরকম বিকল্প ব্যবস্থা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেন তিনি। এবং গত ৫০ মাসে আগরতলা শহরের কোথাও কোন মার্কেট হকারদের জন্য তৈরি করা হয়েছে বলে শহরবাসী জানা নেই। এগুলি হলো একটা চলমান প্রক্রিয়া। এইগুলি বাদ দিয়ে স্মার্ট সিটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। শহর এলাকার মানুষের জন্য আরবান ট্রান্সপোর্ট ১৭৩ গাড়ি ক্রয় করেছিল। এবং বামফ্রন্ট সরকার যখন সরকার থেকে যায় তখন ১৪০ থেকে ১৪২ টি গাড়ি রাস্তায় ছিল। বাকি গাড়িগুলির মেরামতের জন্য ছিল। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে আরবান ট্রান্সপোর্টের গাড়ি নজরে আসে না। এবং গত ৫০ মাসে কোন গাড়ি আরবান ট্রান্সপোর্ট ক্রয় করেনি বলে জানান তিনি। এবং শহরের বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য যানজট সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাই দাবী জানানো হচ্ছে একটি মাল্টি স্টোরেজ বিল্ডিং তৈরি গাড়ি পার্কিং জোন তৈরি করার দাবি জানানো হচ্ছে। একইভাবে মোটর স্ট্যান্ড নির্মাণ করার জন্য দাবি জানান তিনি। এগুলো স্মার্ট সিটি প্রজেক্ট এর সাথে চিন্তাভাবনার ছিল পূর্বতন সরকারের বলে জানান তিনি। পূবর্তন সরকারের আমলে হাওড়া নদীর তীর উঁচু করার জন্য প্রজেক্ট তৈরি করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছিল। যাতে শহরকে জল মুক্ত রাখা যায় এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো উন্নত করা যায়। কেন্দ্র সরকার প্রজেক্ট গ্রহণ করল টাকা দেয়নি। কিন্তু এর জন্য অর্থ বরাদ্দ করে অনুমোদন কেন্দ্র সরকার পরবর্তী সময় দিয়েছি কিনা তা জানা নেই। পাশাপাশি আরও দাবি জানান সহজাত জল মুক্ত করতে আরো পাম্প বসানো হয়। পাশাপাশি এদিন মেয়রের কথার খেলাপ করে বলেন আগরতলা শহরে কখনো হাওড়া নদীর জল প্রবেশ করে না। জল আইএসবিটি দিয়ে প্রবেশ করে কাটা খাল দিয়ে বের হয়ে যায়। মেয়রের বক্তব্য সত্য নয় বলে জানান। শুধু জলে নেমে ফটো তুল্লেই হয়না, শহর বন্যার জল মুক্ত করতে আরেকটু পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে হবে । শহরে বিজয় কুমার চৌমুনী এলাকা স্থিত খাল, কালাপানিয়া এবং আখাউড়া তিনটি খাল আরো বেশি সংস্কার করে উন্নত করতে হবে বলে সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি। স্মার্ট সিটি এখন হাসির খোরাক হয়ে গেছে শহরবাসীর কাছে। পূর্বতন সরকারের আমলে কেন্দ্র সরকার থেকে যখন প্রজেক্টটি রাজ্যে অনুমোদন এসেছিল তখন নিকাশি ব্যবস্থা আরও মজবুত করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। এরমধ্যে কাচা ড্রেইন গুলি পাকা করা, ফুটপাতে রাস্তাঘাট গুলি উন্নতিকরণ করা, পাশাপাশি রাস্তাঘাট গুলি নির্মাণের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। আরো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল শহর এলাকায় জলাশয়গুলো জবর দখল মুক্ত করে মানুষের ব্যবহারের যোগ্য করে তোলা। মোট ১৮ টি জলাশয় প্রজেক্টের আওতায় ধরা হয়েছিল।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য