স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৪ মে : টিপল ইঞ্জিনের বিকাশ শুধু সীমাবদ্ধ অনুষ্ঠানের মঞ্চে ও সামাজিক মাধ্যমে। তথাকথিত জনদরদীরা জনজাতিদের জন্য দরদে কেঁদে ফেললেও অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত বাস্তবে সুশাসন পৌঁছাতে কাজ করছেন না তারা। এরই অন্যতম নিদর্শন দেওড়াছড়া কলোনি পাড়া। এলাকায় ৪১ বছরেও রাস্তা হয় নি। কৈলাসহর শহর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গৌরনগর আর ডি ব্লকের অন্তর্গত দেওড়াছড়া এডিসি ভিলেজের দুই নম্বর ওয়ার্ডের কলোনি পাড়া যেন এক বিস্মৃত অধ্যায়। ১৯৮৪ সাল থেকে রিয়াং সম্প্রদায়ের মানুষ এখানে বসবাস করলেও, আজও নেই পাকা রাস্তা, নেই স্টিল ব্রিজ বা কালভার্ট।
এলাকার মানুষজন নিজেদের তৈরি করা বাঁশের সাঁকো দিয়ে ছড়া অতিক্রম হয়। যাতায়াতের যে পথ রয়েছে, সেটিও অত্যন্ত প্রশস্ত কম, জঙ্গলাকীর্ণ ও বিপজ্জনক। গত ফেব্রুয়ারি মাসে এলাকায় আগুন লাগে। খবর দেওয়া হয় দমকল কর্মীদের। তারা এলেও ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেন। কারণ রাস্তা নেই। ১৫ টি পরিবারের প্রায় ৭০ জন মানুষ আজও ন্যূনতম পরিকাঠামোর জন্য মুখাপেক্ষী। এলাকাবাসীর একটাই দাবি—“রাস্তা চাই না, অন্তত একটা স্টিল ব্রীজ বা কালভার্ট করে দেন। এদিকে এলাকার এক প্রবীণ নাগরিক জানান, দীর্ঘ বছর ধরে কাজের এই সমস্যা আজও সমাধান হয়নি। ভাঙ্গার বাঁশের ঝাঁকু দিয়ে তাদের চলাচল করতে হয়। বহুবার বিষয়টি জেলা শাসক থেকে শুরু করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নজরে আনা হয়েছে। অথচ আজ পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো এলাকার গর্ভবতী মহিলা কিংবা কোন রোগী নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যায় করতে হয়। একটি বাঁশের উপর ভর করে তাদের এই বাঁশের সাঁকো পারাপার হতে হচ্ছে। অনেকে বাঁশের সাঁকো থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছে। অথচ প্রশাসন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি তাদের বঞ্চনার করেই যাচ্ছে। সুতরাং এই দৃশ্য প্রমাণ করে জনজাতি দরদী নেতারা কতটা রসিকতা করে চলেছে তাদের সাথে।