স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২১ এপ্রিল :রাজধানীর দক্ষিণ জয়নগর এলাকায় হাওড়া নদীর জলে ভেঙে গেল বাঁশের সাঁকো। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে হাওড়া নদীর উপর ছিল একটি কাঠের ব্রীজ। প্রয়াত বিধায়ক সুরজিৎ দত্ত বহু বছর আগে এলাকায় একটি কাঠের ব্রীজ নির্মাণ করে দিয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরেই নড়বড়ে হয়ে যায় এই কাঠের ব্রীজ।
তারপর থেকে যাতায়াতের জন্য এলাকার বিধায়কের কাছে স্থায়ীভাবে একটি লোহার ব্রীজ নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য দাবি করে স্থানীয়রা। সেই অনুযায়ী এলাকার বর্তমান বিধায়ক দীপক মজুমদারের তৎপরতায় এলাকায় শুরু হয় লোহার ব্রিজ নির্মাণের কাজ। গত ছয় মাস আগে ব্রিজ নির্মাণের কাজে হাত লাগায় ঠিকাদারের নেতৃত্বে শ্রমিকরা। কিন্তু ঠিকাদারের গাফিলতি কারণে গত দেড় মাস ধরে ব্রীজ নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ। কিন্তু দক্ষিণ জয়নগর এবং উত্তর জয়নগর বাসীর যাতায়াতের একমাত্র প্রধান রাস্তা যেহেতু এটা তাই বর্ষার মরশুমের আগে স্থানীয়দের তৎপরতায় একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়।
রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টিতে হাওড়া নদীর জল বেড়ে যায়। সোমবার দুপুর দুইটার নাগাদ হাওড়া নদীর জলে ধাক্কায় ভেঙে যায় বাঁশের সাঁকোটি। ফলে দক্ষিণ জয়নগরবাসীর যাতায়াতের একমাত্র সাঁকো জলে ভেসে গেছে। দক্ষিণ জয়নগর এলাকায় সবচেয়ে বেশি বটতলা বাজারের ব্যবসায়ী রয়েছেন। তাদের আসা যাওয়া একমাত্র রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় এখন তাদের বর্ডার এলাকা দিয়ে প্রায় ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে বটতলা বাজারে আসতে হবে। শুধু তাই নয়, রাজনগর স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের প্রায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে আসতে হবে। অত্যন্ত বড় সমস্যায় ফেসে গেছেন এলাকায় মানুষ। কয়েক শতাধিক পরিবার এখন বড়সড় বিপদে পড়েছে বলে মনে করছে স্থানীয়রা।