স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২১ এপ্রিল :কাঁঠালের বিচি খেয়ে পেটের খিদে মেটানো মানুষ আজ স্বপ্ন দেখছে ভবিষ্যতের। এটাই পরিবর্তিত ত্রিপুরার অন্যতম উদাহরণ। আজ গ্রাম পাহাড়ে প্রত্যন্ত এলাকায় অন্তিম ব্যক্তির পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে বিকাশ ত্রিপুরার সুফল। বিনা আন্দোলনে মিলছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর, বিদ্যুৎ, পানীয় জল, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য।
কিন্তু একসময় পাহাড়ের সহজ সরল মানুষকে এই মৌলিক অধিকারের দাবিতে দীপ্ত মিছিল সংগঠিত করতে হতো পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের বিশেষ দৃষ্টিতে গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলের সাথে ত্রিপুরা এগিয়ে চলেছে। ২০১৮ সালে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সংসদ বিপ্লব কুমার দেব পাহাড়ের ঘরে ঘরে পৌঁছে আশ্বাস দিয়েছিলেন ডাবল ইঞ্জিন সরকার ডাবল গতিতে ত্রিপুরার বিকাশ ঘটাতে তাদের বাড়িতে বিদ্যুৎ পানীয় জল শিক্ষা স্বাস্থ্য এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘর পৌঁছে দেবে। রাজ্যের মুখ্য সচিব সহ অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করে দ্রুত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। ২০১৮ -র পর গত সাত বছরে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করে চলেছে বর্তমান সরকার।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব নিজ সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করে জানিয়েছেন, ২০১৫ থেকে প্রথমে জনসম্পর্ক শুরু করেছেন, প্রদেশ বিজেপি সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করার সুবাদে প্রান্তিক ত্রিপুরার বিভিন্ন জনপদ পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগে, বামফ্রন্ট সরকারের উন্নয়নের প্রকৃত বাস্তব চিত্র দেখে স্তম্ভিত হয়েছেন। কিভাবে এতগুলি বছর সহজ সরজ মানুষদের অধিকাংশ অধিকার ও সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত রেখে এক কাল্পনিক এবং অসত্য স্বর্ণ রাজ্যের গল্পঃ মানুষের সামনে তুলে ধরা হতো। ক্ষমতার আস্ফালনে পদদলিত হয়েছে, নিরীহ মানুষদের ভবিষ্যৎ। সন্ত্রাসের মুখে চেপে রাখা এই মানুষদের চোখে মুখে এক নির্বাক প্রতিবাদ ও মুক্তির সূর্যের অপেক্ষা যেন স্পষ্ট অনুভব করা গিয়েছিল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে গোটা দেশে প্রবাহমান বিকাশ ধারায় বিশ্বাস স্বরূপ, ২০১৮ সালে বহু প্রতিক্ষিত মুক্তির সূর্য উদিত হয়ে, বামফ্রন্ট সরকারের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হলো, ত্রিপুরাবাসীর সরকার। বঞ্চিত ও অভাব পীড়িত মানুষের না বলা ব্যথাগুলি প্রথম থেকেই মনে একটা বড় জায়গা দখল করে রেখেছিলো।
ত্রিপুরাবাসীর আশীর্বাদ ও দলের আস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেই প্রথম সফর ছিল গন্ডাছড়ার ধনুরাম পাড়ায়। যেখানকার মানুষের খাদ্য পর্যন্ত ছিল না, কাঁঠালের বিচি খেয়ে, বন থেকে বিভিন্ন সরঞ্জাম সংগ্রহ করে, শিকার করে কোনো রকমে ক্ষিদা নিবারণ করতো। তাঁদের কাছে সমস্ত সরকারি সুযোগ ও নাগরিক অধিকার গুলি পৌঁছে দিয়ে, তারাও যেন সমাজের সকল অংশের মানুষের মত সমান ভাবে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে, সেই উদ্যোগ শুরু হয়। আজ এই জনপদে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর, বিদ্যুৎ, পানীয় জল, রাস্তা, রাবার বাগান, জমির পাট্টা, কিষান সম্মান নিধির আওতায় বছরে ৬ হাজার টাকা, বিনামূল্যে চাল, সামাজিক ভাতা সহ প্রতিটি সুযোগ পৌঁছে গেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আন্তরিক দৃষ্টিতে পরিবর্তিত ত্রিপুরার হাসি মুখগুলি এখন ভীষণ ভাবে আনন্দ দেয়। সন্ত্রাসের বদলে এখন ত্রিপুরা পেয়েছে বিকাশ।