আগরতলা, ২০ এপ্রিল (হি.স.) : ত্রিপুরায় সবচেয়ে বেশি বিদ্যুতের বিল দিচ্ছেন রাজধানী আগরতলার ভোক্তারা। তাই প্রধানমন্ত্রী সূর্যঘর মুফত বিজলি যোজনায় রাজধানীকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। রবিবার রাজধানীর লালবাহাদুর ব্যায়ামাগারে প্রধানমন্ত্রী সূর্যঘর মুফত বিজলি যোজনা নিয়ে আয়োজিত জনসচেতনতা ও নিবন্ধীকরণ শিবিরের উদ্বোধন করে একথা বলেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
রবিবার রাজধানীর লালবাহাদুর ব্যায়ামাগারের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী সূর্যঘর মুফত বিজলি যোজনা নিয়ে এক জনসচেতনতা এবং নিবন্ধীকরণ শিবিরের আয়োজন করা হয়। এই শিবিরের উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ। শিবিরে উপস্থিত ছিলেন লাল বাহাদুর ব্যায়ামাগিরের সভাপতি তথা রাজ্যের বিশিষ্ট সাংবাদিক প্রণব সরকার, রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব সুবল ভৌমিক সহ অন্যান্যরা।
এই নিবন্ধীকরণ শিবিরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, এই যোজনায় এক কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন সোলার প্লেট ইন্সটল করতে খরচ পরবে ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা। এতে ভর্তুকি মিলবে ৩৩ হাজার টাকা। সুতরাং ৩৩ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে ২৫ বছর পর্যন্ত যদি কেউ ফ্রি বিদ্যুৎ পরিষেবা পান তবে এর চেয়ে বড় কিছু হতে পারে না।
মন্ত্রী আরো বলেন, রাজ্যের নদীগুলির আকার ছোট হওয়ায় জলবিদ্যুতের তেমন একটা সুবিধা নেই। আগামী দিনে বিদ্যুৎ পাওয়ার জন্য সৌরশক্তিই একমাত্র পথ। তাই সৌর বিদ্যুতের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। আগামী দিনগুলির কথা মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই যোজনা চালু করেছেন। বিদ্যুৎ মন্ত্রী আরো জানান, রাজ্যের মধ্যে আগরতলা শহরবাসীই সবচেয়ে বেশি বিদ্যুতের বিল দেন। কারণ রাজধানীতে হুক লাইনের ব্যবস্থা প্রায় নেই বললেই চলে। তাই আগরতলা শহরকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত একাধিক ভেন্ডার এই সচেতনতা শিবিরে অংশগ্রহণ করে। তারা এই যোজনায় কিভাবে ব্যাঙ্কের লোন পাওয়া যাবে, কিভাবে এই বিদ্যুৎ পরিষেবা পাওয়া যাবে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে উপস্থিত এলাকাবাসীর কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন।