স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১০ মে : দীর্ঘসময় কমিউনিস্ট শাসন ক্ষমতায় থাকার কারণে মানুষ দেউলিয়া মানসিকতায় বড় হয়েছে। শুধু বলা হতো কেন্দ্র দেয় না, বঞ্চনা করা হচ্ছে। কমিউনিস্টদের সেই মানসিকতার কারণে মানুষ স্বনির্ভর হয়ে উঠে নি। এখন আর ত্রিপুরার মানুষকে বোকা বানানো যাবে না। দীর্ঘ সময় ত্রিপুরাকে বরবাদ করেছে তারা।
মঙ্গলবার মোহনপুরে কিসান সম্মান নিধি এবং পি এম এ ওয়াই বেনিফিসারীদের কর্মশালায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এভাবেই পূর্বতন বামপন্থী সরকারকে তোলোধুনো করে ছাড়েন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তিনি আরো বলেন আগে কর্মচারীদের বাধ্য করে মিছিলে হাটানো হতো। পদোন্নতি করা হতো না। এখন সরকার এডহক পদন্নোতির ব্যবস্থা করেছে। হোম গার্ডের বেতন ৬ হাজার থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৮ হাজার। প্রায় ১০০০ বিজ্ঞান শিক্ষককে নীয়মিত করা হয়েছে। টি এস আর জোয়ানদের চাকরির বয়স সীমা একযোগে ৩ বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভাতার টাকা বাড়িয়ে ভাতা ১ হাজার টাকা করা হয়েছে।
দুর্গাপূজার আগে আরো ১ হাজার টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। কৃষান সম্মান নিধির মাধ্যমে বিনা কমিশনে কৃষকের ব্যাঙ্ক একাউন্টে বছরে ছয় হাজার টাকা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এই সরকার বর্গাদার জমির কৃষকদের জন্য ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ প্রদান ও অন্যান্য সরকারি সুবিধা পাওয়ার সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। আবাস যোজনায় ঘর, বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদান, সি বি এস ই স্কুল, নতুন বিমানবন্দর, শৌচালয়, উজ্জ্বলা যোজনায় গ্যাস প্রদান সহ নতুন জাতীয় সড়ক নির্মাণ করার পরিকল্পনা নিয়েছে বর্তমান সরকার।পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী এলাকার বেনিফিসারী দের সাথে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। নারীদের সম্মান বৃদ্ধি করতে এবং ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের নেতৃত্বে সরকার কাজ করে চলেছে। টিএসআর বাহিনীতেও মেয়েদের নিয়োগ করা হয়েছে। সরকারি ন্যায্য মূল্যের ডিলারশিপেও মহিলাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এখন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ঘোষনা করেছেন সরকারি চাকুরীতেও ৩৩ শতাংশ মহিলাদের সংরক্ষণ দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের আত্মনির্ভর এবং স্বভিমানী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য একের পর এক অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখে বলেন শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ। অনুষ্ঠানের শেষে মুখ্যমন্ত্রী স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন। তাদের অভাব অভিযোগ সম্পর্কে অবগত হন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী সারা রাজ্যব্যাপী অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে গ্যাসের চুলা প্রদানের প্রক্রিয়ার সূচনা করেন। মোহনপুরের যোগেন্দ্র সূত্রধর পাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সূচনা করেন। পরবর্তিতে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের প্রাঙ্গনে গাছের চারাও রোপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এবং মোহনপুরে মুখ্যমন্ত্রী মডেল গ্রাম মোহিনীপুর গ্রামের যোগেন্দ্র সূত্রধর পাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের অন্নপ্রাশন ও মায়েদের সাধ ভক্ষন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন। সেখানে শিশুদের মধ্যে খাদ্যও বিতরন করেন।