স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ মে : ভারতবর্ষকে জানাতে হলে এ দেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং তার পরিভাষা তুলে ধরতে হবে বর্তমান প্রজন্মের কাছে। সেই জন্যই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তরুণ প্রজন্মকে উদ্ভূত করতে চেয়েছিলেন। সোমবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
তিনি আরো বলেন, শুধু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লাগিয়ে রাখলে চলবে না।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেখানো পথ আমরা অনুসরণ করছি কিনা সেটাই মূল বিষয়। আগে ত্রিপুরাতে একদলীয় ব্যবস্থা ও একতন্ত্র কয়েম ছিল। পূর্বে রাজ্যবাসীকে বিদেশি মানসিকতা চাপিয়ে দিত কমিউনিস্টরা। কোন সংস্কার ছিল না কমিউনিস্টদের। কিন্তু সেটা সম্পূর্ণ ভুল নিতি ছিল। সবচেয়ে বেশি যদি তথ্য জেনে থাকেন তাহলে ভারতের সনাতনরা। বিশ্বের মধ্যে যদি কোন সংস্কৃতি থেকে তাহলে সেটা ভারতের পূন্য ভূমিতেই রয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
করোনা পরিস্থিতিতে বড় বড় দেশে যখন চিকিৎসার ব্যবস্থাপনার অভাব দেখা দিয়েছিল তখন ভারতে ব্যবস্থাপনার কোন অভাব দেখা দেয়নি। কারণ ভারতের সংস্কৃতিতে রয়েছে সঞ্চয় করে রাখা। সে ব্যবস্থাপনায় দেশ জটিল পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। একইভাবে আর্থিকভাবেও ভেঙে পড়ে নি। কারণ ভারতের কাছে ব্যবস্থাপনা অভাব ছিল না বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে স্মরণে রেখে রবীন্দ্রনাথের প্রতিটি লক্ষ্যে পূরণ এবং স্বপ্নে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সেই পথেই অনুসরণ করে চলেছেন। এমনটাই জানান তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিশুদের এদিনকার এই অনুষ্ঠানে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রীর রতন লাল নাথ, ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক অরুনাদয় সাহা সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।