স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ মে : ডি ডাব্লিউ এস দপ্তরের সঙ্গে যুক্ত কর্মচারীদের কাজের পরিধি বেড়েছে। আগের থেকে এখন তাদের দায়িত্ব বেশী। তবে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত পাচটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের মধ্যে জল জীবন মিশন অন্যতম। ২০১৮- র আগে সারা পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে হার ছিল ৩.২২ শতাংশ। আগে ছিল পাড়া ভিত্তিক। বাড়ি ভিত্তিক নয়। প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেয় বাড়ি ভিত্তিক জল পৌছে দেওয়ার। বৃহস্পতিবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে ত্রিপুরা পাম্প অপারেটর সংঘের দ্বিবার্ষিক রাজ্য সম্মেলনের শুভ সূচনা করে একথা বলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। সারা দেশে ১৯ কোটির উপর বাড়ি রয়েছে গ্রামীন এলাকায়।
এখনো পর্যন্ত ৯ কোটি বাড়িতে জল পৌছানো গেছে। শহর এলাকায় কাজ করে নগরোন্নয়ন দপ্তর। ২০১৮ সালে সরকার অটল জলধারা মিশনের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই পানীয় জল প্রদানের ক্ষেত্রে আধিকারিক, ইঞ্জিনিয়ার, শ্রমিকরা জেমন কাজ করেছে, ঠিক তেমনি ভাবে পাম্প অপারেটাররা গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। দীর্ঘ ৪০ বৎসর রাজত্বকালে কমিউনিস্ট সরকার রাজ্যে শ্রমিক-কৃষক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের কথা একেবারে ভাবেনি। কিন্তু মিছিল মিটিংয় আন্দোলনে শ্রমিক কৃষকদের ব্যস্ত রাখতে চাইতো। বর্তমান সরকারের আমলে শ্রমিকদের মিটিং-মিছিল করতে হয় না। কারণ এই সরকার আন্দোলনে বিশ্বাসী নয়। জনগণের কল্যাণে কাজ করছে। রাজ্যের দায়িত্বশীল মুখ্যমন্ত্রী মানুষের কথা ভাবেন। তাই ২০১৮ আগের অবস্থার সাথে বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটাই ভিন্ন। সরকার ভিশন ডকুমেন্ট বাস্তবায়িত করার পাশাপাশি আরও বহু কাজ ভিশন ডকুমেন্টের বাইরে গিয়ে সম্পন্ন করেছে বলে জানান মেয়র দীপক মজুমদার। সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সোসাইটি ফর ম্যানেজমেন্ট অফ কালচারেল কমপ্লেক্সের চেয়ারম্যান কমল দে, ত্রিপুরা পাম্প অপারেটর সংঘের যুগ্ম উপদেষ্টা তথা মোহনভোগ পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান জীতেন দাস, ত্রিপুরা পাম্প অপারেটর সংঘের সভাপতি বিজয় রায়, সম্পাদক ঝুনু লাল শুক্লদাস সহ সারা রাজ্য থেকে আগত ত্রিপুরা পাম্প অপারেটর সংঘের সদস্য-সদস্যারা।