স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ মে : ফের ময়দানের সরব হয়েছে চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার দুপুর বারোটা নাগাদ রাজধানীর সিটি সেন্টারের সামনে চাকুরির পুনর্বহালের দাবিতে ধর্নায় সামিল হয়। এদিন ধর্না থেকে চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বক্তব্য সম্প্রতি ১০,৩২৩ নিয়ে সুপ্রীম কোর্টের রায়ের বিষয়ে একটি আর টি আই করা হয়।
১০,৩২৩ শিক্ষকদের একাংশ জানতে চান সুপ্রীম কোর্টের যে রায়ের মূলে তাদের চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে সেই রায়ে তারা পক্ষভুক্ত কিনা। আর টি আই-র উত্তরে জানানো হয়েছে ১০,৩২৩ এই রায়ের পক্ষ ভুক্ত নয়। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলে বিক্ষোভকারী চাকুরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। আরো জানান, ২০১৭ সালে তৎকালীন শিক্ষা অধিকর্তা উত্তম কুমার চাকমা তাদের এড হক অ্যাপোয়েন্টমেন্ট এবং চাকরিতে দুটি পৃথক কাগজ দেন নি। পরবর্তী সময় ২০২০ সালের ৩১ মার্চ শিক্ষকরা কর্মহীন হয়ে পড়ে। তাই অবিলম্বে চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকুরিতে পুনর্বহাল করার জন্য। এদিন প্রতিনিধিদল আরো বলেন সুপ্রিম কোর্টের কথা বলে তাদের চাকরি থেকে টারমিনেট করছে আমলারা। এর পেছনে গভীর চক্রান্ত রয়েছে।
রাজ্যে এখন পর্যন্ত ১৩০ জন চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। এর জন্য দায়ী দপ্তরের আমলারা। এবং অবিলম্বে যদি তাদের নিয়োগ না করা হয় তাহলে এর যোগ্য জবাব দেবে আগামী দিনের চাকুরীচুত্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা এমনটাই হুঁশিয়ারি দেন তারা। তাই দুই ঘণ্টার গন অবস্থান করেন। গনঅবস্থান থেকে ৫ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল শিক্ষা ভবনে গিয়ে অধিকর্তার কাছে ডেপুটেশন প্রদান করেন। ডেপুটেশনে প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন প্রণব দেব, শ্যামল কুমার দে, শান্তনু ভট্টাচার্য, প্রশান্ত দেববর্মা এবং রাজীব দাস। ডেপুটেশনের প্রতিনিধিদল জানান দপ্তরের অধিকর্তার উদ্দেশ্যে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের আর টি আই গুলি তুলে ধরা হয়েছে। দপ্তরের পক্ষ থেকে কোন রকম সদুত্তর দিতে পারেনি। তারা জানিয়েছেন বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের গোচরে নেওয়া হবে। এবং আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে তাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।