স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ মে : মঙ্গলবার ছিল শুভ অক্ষয় তৃতীয়া তিথি। শুধু বাঙালীরাই নয়, সারা দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী অত্যন্ত নিষ্ঠার সহকারে দিনটি উদযাপন করেন। আজকের দিনে শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণের চন্দন যাত্রা মহোৎসব। পুরীধামে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের ২১ দিন ব্যাপী চন্দন যাত্রা উৎসব শুরু হয় অক্ষয় তৃতীয়া শুভ লগ্ন থেকে। সেই রীতি অনুযায়ী আগরতলা লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির, জগন্নাথ বাড়ি, ইসকন মন্দির সহ বিভিন্ন মন্দিরে যথাযোগ্য মর্যাদায় নিয়ম মেনে অক্ষয় তৃতীয়ার পূজা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার ছিল অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ তিথি। তবে শুধু বাঙালিই নয় , গোটা দেশের হিন্দুদের জন্য এই উৎসব অত্যন্ত শুভ। বৈশাখ মাসের শুক্ল পক্ষের তৃতীয়া তিথিতে অক্ষয় তৃতীয়ার পুজো হয়। যে কোন কাজ সম্পন্ন করার জন্য এই দিন অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। সংস্কৃত অনুসারে অক্ষয় শব্দের অর্থ যার কোন ক্ষয় নেই। সেই সঙ্গে শাস্ত্র মতে অক্ষয় তৃতীয়া সুখ প্রদানকারী এবং পাপ নাশকারী তিথি। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন ব্যবসায়ী লক্ষ্মী- গণেশ পুজোর আয়োজন করেন। অনেকে দোকানে এদিন হালখাতাও হয়। শুধু দোকান নয়, অনেকে বাড়িতেও পুজো করেন। এছারা বিভিন্ন মন্দিরে ভক্তরা ভীড় জমান। এদিন সোনা কিনলে পরিবারে সুখ সমৃদ্ধি ঘটে। রাজধানীর লক্ষী নারায়ণ বাড়ি মন্দিরে আসেন ভক্তরা। হাল খাতা যাত্রাতেও এই বছর ভীড় পরিলক্ষিত হয়। হাল খাতা পয়লা বৈশাখে বেশী লেখা হয়। কিন্তু যারা রাম ঠাকুরের দিক্ষিত তাঁরা এই দিনে হালখাতা লেখেন বলে জানান মন্দিরে হালখাতা লেখার কাজে যুক্ত এক পুরোহিত।
এদিন ছিল ঠাকুর রাম চন্দ্র দেবের ৭৩ তম তিরোধান দিবস। এই উপলক্ষ্যে এদিন বনমালীপুর স্থিত শ্রী শ্রী রাম ঠাকুর সেবা মন্দিরের উদ্যোগে বিশেষ অনুষ্ঠান ও পূজার্চনার আয়োজন করা হয়। শুরুতে হয় মঙ্গলারতী। এরপর হয় বেদবানী পাঠ, অক্ষয় তৃতীয়ার মাহাত্ম বিশ্লেষণ। এদিন সাংস্কৃতিক শাখার উদ্যোগে শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। দুপুরে হয় প্রসাদ বিতরণ । সন্ধ্যায় সত্যনারায়ণ সেবার মাধ্যমে এই তিরোধান দিবস উদযাপন সম্পন্ন হবে।