আগরতলা, ২৫ মার্চ (হি.স.) : জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি সহ পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান এর সান্মানিক ভাতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের রয়েছে। মঙ্গলবার বিধানসভায় বিধায়ক দীপক মজুমদার এবং বিধায়ক রামপদ জমাতিয়ার এক প্রশ্নের উত্তরে এই তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা।
মন্ত্রী, বিধায়ক, প্রাক্তন মন্ত্রী এবং প্রাক্তন বিধায়কদের পর এবার জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি প্রমুখদের সান্মানিক ভাতা বৃদ্ধি হতে চলেছে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।মঙ্গলবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বিধায়ক দীপক মজুমদার এবং বিধায়ক রামপদ জমাতিয়ার এক তারকা খচিত প্রশ্নের উত্তরে এই সংবাদ জানিয়েছেন গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি ছাড়াও পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানদের সান্মানিক ভাতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের অন্যান্য নির্বাচিত সদস্য সদস্যাদের ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনাও রাজ্য সরকারে রয়েছে। কবে নাগাদ এই ভাতা বৃদ্ধি করা হবে বা দেওয়া হবে এই প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, গোটা বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, বর্তমানে ২০১৯ সাল থেকে সরকারি সিদ্ধান্ত মত জেলা পরিষদের সভাধিপতিরা মাসে ১৫০০০ টাকা করে সান্মানিক ভাতা পাচ্ছেন। সহ-সভাধিপতিরা পাচ্ছেন মাসে ৫০০০ টাকা করে সম্মানিত ভাতা। পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যানরা মাসে ১০ হাজার টাকা করে এবং ভাইস চেয়ারম্যানরা মাসের ৭০০০ টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, বর্তমানে পঞ্চায়েত প্রধান এবং ভিলেজ কমিটির চেয়ারম্যানরা মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে পাচ্ছেন। উপপ্রধান এবং ভাইস চেয়ারম্যানরা মাসে চার হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, গ্রাম উন্নয়ন দপ্তর এবং পঞ্চায়েত দপ্তরকে নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করে দেখছে।