স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩০ এপ্রিল : ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টের ধারা অনুযায়ী চারজন শিক্ষক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সেসব চাকুরিচুত্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আদালতে হাজির হতে নোটিশ প্রদান করা হয়।
আদালতের নোটিশ পেয়ে শনিবার নির্ধারিত দিনে চাকরীচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকা কমল দেব, বিমল দেব, পিয়ালি চৌধরি এবং অমূল্য দেববর্মা পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা ও দায়রা জজের আদালতে হাজির হন। চাকরীচ্যুত শিক্ষক কমল দেব জানান, আদালতের নোটিশ পেয়ে তারা হাজির হয়েছেন। কিছুদিনের মধ্যে জামিন দিয়ে তারা জামিনে মুক্ত হবেন। তবে মামলায় ভয় পায় না চাকরীচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা। কিন্তু অধিকারের জন্য চাকরীচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকারা রাস্তায় থাকবে বলে হুশিয়ারি দেন তিনি। রাজ্যে মন্ত্রীরা যখন বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে জমায়েত করছেন তখন কি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট লাগু হয় না।
এভাবে চাকরীচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে কণ্ঠরোধ করতে পারবে না বলে জানান তিনি। তাই সরকার যাতে বিমাতৃসুলভ আচারণ বন্ধ রাখে তার জন্য জানান চাকরীচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। চাকরীচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্থায়ী সমাধানের দাবিতে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করে আসছে। পঁচিশ মাস ধরে তাদের বেতন-ভাতা নেই। আর টি আই রিপোর্টে উঠে এসেছে সুপ্রিমকোর্টে নির্দেশে তাদের চাকরি যায়নি। এটা সরকার এবং দপ্তর ষড়যন্ত্র করে চাকরিচ্যুত করেছে। ফলে চাকরির ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাদের পরিবার নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে আছেন। কিন্তু সরকারের কোনো হেলদোল নেই। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানানো হচ্ছে ভিশন ডকুমেন্টে দেওয়া প্রতিশ্রুতি যেন ২০২৩ -এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে পালন করা হয়। নাহলে ১০,৩২৩ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের করুণ অবস্থার জন্য দায়ী থাকবে বর্তমান সরকার বলে জানান চাকরিচ্যুত শিক্ষক বিমল দেব।