Sunday, April 20, 2025
বাড়িরাজ্যটি এস এফ আন্দোলনের তীব্র নিন্দা করলো আমরা বাঙালি, রাজ্যের শাসক ও...

টি এস এফ আন্দোলনের তীব্র নিন্দা করলো আমরা বাঙালি, রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন আমার বাঙালির সচিব

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৩ মার্চ: টি এস এফ আন্দোলনের তীব্র নিন্দা করলো আমরা বাঙালি, রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন আমার বাঙালির সচিব গৌরাঙ্গ রৌদ্র পাল। রবিবার রাজধানীর শিবনগর স্থিত আমরা বাঙালি রাজ্য কার্যালয় সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেন, ককবরক ভাষায় রোমান হরফ চালুর দাবিতে তিপ্রা মথার ছাত্র সংঘটন টিএসএফ -এর ডাকে অনির্দিষ্টকালের রাস্তা অবরোধ ও আন্দোলনের জেরে গোটা রাজ্যজুড়ে নৈরাজ্য কায়েম হয়েছে। এবারই প্রথম দেখা গেল, আন্দোলনের নামে রোগীর এম্বুলেন্স, রোগী, পরীক্ষার্থী সহ জরুরী কাজে পথচলতি মানুষকে পর্যন্ত গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে বাঁধা দেওয়ার ঘটনা। যা রাজ্যের ইতিহাসে নজীরবিহীন। তাছাড়া আর একটি উল্লেখ করার বিষয় হল তিপ্রা মথার মতো শাসকদলের শরিক দল।

তাদের ছাত্র সংঘটনের ডাকা রাস্তা অবরোধ ও আন্দোলনের ফলে সৃষ্ট চরম জনদুর্ভোগ সত্ত্বেও প্রশাসনিক কার্যকরী ভূমিকার পরিবর্তে নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল সিপিআইএম -এর সম্পূর্ণ নিরব ভূমিকা পালন ও কংগ্রেস দলের প্রকারান্তরে উক্ত আন্দোলনকে সমর্থন করছে। কাজেই রাজাবাসীর কাছে বিষয়টি এখন স্পষ্ট যে, ক্ষমতা দখলের সংকীর্ণ রাজনীতি তথা উপজাতি ভোট ব্যাংকের স্বার্থে শাসক বিজেপি, সিপিআইএম এবং কংগ্রেস একই পথের পথিক বলে অভিযোগ ছুড়লেন রাজ্যের প্রধান শাসক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি দিকে। তিনি আরো বলেন, আশির জুনের গণহত্যায় বলি ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, উগ্রপন্থীদের আত্মসমর্পন থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত সমস্ত সুযোগ সুবিধা ও নাগরিক অধিকার রক্ষার প্রশ্নে রাজ্যে একাংশের মানুষকে বঞ্চিত করে শুধু সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকের স্বার্থে ব্যবহার ও তোষণ নিতির জন্যেই তাদের এত সাহস ও পরাক্রম বেড়ে গেছে। যার পরিনাম ভোগ করে চলেছে রাজ্যবাসী।

 আমরা বাঙালী দলের পক্ষ থেকে রোমান হরফ চালুর দাবিতে মথার ছাত্র সংঘটনের ডাকা রাস্তা অবরোধ ও আন্দোলনের ফলে সৃষ্ট দুর্ভোগের জন্যে আন্দোলনকারী সহ রাজ্য সরকার ও বিরোধী সিপিআইএম, কংগ্রেসের বর্তমান ভূমিকাকে দায়ী করছে। তীব্র নিন্দা, ধিক্কার, ও প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। রাজ্যবাসীর কাছে দাবি আন্দোলনকারী, ভাষা বিশেষজ্ঞ ও রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদেরকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে শীঘ্র এই সমস্যার যেন সমাধান করা হয়। নতুবা নিকট ভবিষ্যতে ত্রিপুরাতে হয়তো আশির জুনের মতো অশান্তির আগুন জ্বলে উঠতে পারে, যা চলতি আন্দোলনকে ঘিরে মথার সুপ্রিমো প্রদ্যোত বাবুর বক্তব্যে ফুটে উঠেছে। সুতরাং সাধু সাবধান বলে জানান তিনি।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য