স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা ১৭ মার্চ : অসংগঠিত সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৬ এর (১) এবং (২) ধারা প্রত্যাহার করা, মোটর ভেহিক্যাল আইন ২০১৯ শ্রমিক স্বার্থে সংশোধনের দাবি সহ ১৬ দফা দাবিতে ২৪ শে মার্চ লোকসভা অভিযান করা হবে। এই অভিযানের সংহতি জানিয়ে সোমবার আগরতলায় অল ইন্ডিয়া রোড ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার ফেডারেশনের পক্ষ থেকে এক মিছিল সংগঠিত হয়। মিছিলটি অফিস লেন থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে।
উপস্থিত সিআইটিইউ রাজ্য সভাপতি মানিক দে, সি আই টি ইউ নেতা অমল চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা। সি আই টি ইউ রাজ্য সভাপতি মানিক দে বক্তব্য রেখে বলেন সারাদেশে প্রায় ১০ কোটি অধিক পরিবহন শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে তাদের জীবন জীবিকা সবদিক থেকে আক্রান্ত। তাদের বেতন ভাতা যেমন সঠিকভাবে প্রদান করা হয় না, তেমনি তাদের চিকিৎসার জন্য কোন ব্যবস্থাপনা নেই। তিনি বলেন রাজ্যগুলির জন্য পরিবহন শ্রমিকদের সাথে যে মজুরি নির্ধারণ করা আছে সেটা বাস্তবের সাথে সংঙ্গতিহীন। গোটা দেশের সাথে একই অবস্থা ত্রিপুরা রাজ্যের। দিন দিন পরিবহন শ্রমিকদের মজুরি কমছে। এবং এ মজুরি দিয়ে পরিবহন শ্রমিকরা সংসার পরিচালনা করতে পারেন না। তাই পরিবহন শ্রমিকদের জন্য মজুরি কয়েকগুণ বৃদ্ধি করতে হবে।
তিনি আরো অভিযোগ তুলে বলেন, পরিবহন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য যে নীতি ডাবল ইঞ্জিন সরকার গ্রহণ করেছে তাতে শিল্প আরো বেশি বিপদগ্রস্ত হয়ে উঠবে। তিনি আরো বলেন, সরকার বাজেটের ঘাটতি পূরণ করতে পরিবহন শ্রমিকদের উপর করের বোঝা বাড়িয়ে দিচ্ছে দিনের পর দিন। পরিবহন শ্রমিকদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নেশা সামগ্রী পাচারের সাথে জড়িত বিভিন্ন ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি। বিভিন্ন সময় তারা পণ্য বাজারের সময় নেশা সামগ্রী পাচার করার চেষ্টা করেন। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি যখন পুলিশের নজরে আসে তখন পুলিশ গাড়ি চালককে গ্রেফতার করে দিনের পর দিন জেলে ঢুকিয়ে রাখে। তখন গাড়ি চালকদের পরিবার বিপন্ন হয়ে পড়ে। মাঝপথে থেমে যায় ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা। অথচ তাদের কোন খোঁজ খবরও রাখে না মালিকপক্ষ। যার ফলে হাজার হাজার পরিবহন শ্রমিক বর্তমানে জেলে রয়েছেন। এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন সি আই টি ইউ রাজ্য সভাপতি।