স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৮ এপ্রিল : চলছে শুখা মরশুম। রাজ্যের গ্রাম, পাহাড়, সমতল সর্বত্র তীব্র পানীয় জলের সংকট। প্রতিদিন পানীয় জলের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ থেকে শুরু করে বিক্ষোভ চলছে। পানীয় জলের দাবিতে বৃহস্পতিবারও লংতরাইভ্যালীর ৮২ মাইল এলাকার মহিলারা ৮ নং জাতীয় সড়ক অবরোধে বসে।
তাদের অভিযোগ গত দুই মাস যাবত তারা পানীয় জলের সংকটে ভুগছে। বহুবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দরজায় গিয়ে কড়া নাড়লো দপ্তরের বাবুরা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। কিন্তু বর্তমানে এলাকায় জলের সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। মানুষ জলের অভাবে দৈনন্দিন কাজ সম্পন্ন করতে পারছে না। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার রাস্তা অবরোধ করতে বাধ্য হয় বলে জানায় অবরোধকারীর মহিলারা। খবর পেয়ে ছুটে আসে দপ্তরে কর্মীরা। আশ্বস্ত করেন বিকালের মধ্যে যান্ত্রিক সমস্যা সমাধান করে পানীয় জল প্রদান করার ব্যবস্থা করা হবে।
কিন্তু গ্রামবাসীর দাবি যতক্ষণ না পর্যন্ত এলাকায় পানীয় জলের ব্যবস্থা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ চলবে। দপ্তরের কর্মীদের সাথে কোন ধরনের আপোষ চলবে না। কারণ গত দু মাসে দুবার মেশিন নষ্ট হয়েছে। মেশিন মেরামত করার পরেও পুনরায় মেশিন নষ্ট হয়ে যায়। তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবগত করা হলো তাদেরও কোনো রকম হেলদোল নেই। সুতরাং এই পরিস্থিতিতে জল ছাড়া বাঁচবে কিভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অবরোধকারীরা। দীর্ঘ পথ অবরোধের ফলে রাস্তার দু’পাশে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে পড়ে বহু গাড়ি।
এদিকে বৃহস্পতিবার সাতসকালে গন্ডাছড়া মহকুমার মুর্তিমা কলোনি এলাকার জনজাতিরা গন্ডাছড়া-রইস্যাবাড়ি রাস্তার পঞ্চরতন এলাকায় দলপতি মুখে সড়ক অবরোধে বসে। সড়ক অবরোধকারীদের অভিযোগ গত প্রায় এক পক্ষ কালেরও বেশী সময় ধরে এলাকায় বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসীরা সমস্যা সমাধানের জন্য একাধিকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের দ্বারস্থ হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়ে এলাকার বাসিন্দারা এইদিন সকাল থেকে সড়ক অবরোধে বসে। সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা এইদিন সড়ক অবরোধকারীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন। সড়ক অবরোধকারীদের স্পষ্ট বক্তব্য যতক্ষণ না পর্যন্ত পানীয় জল ও বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সড়ক অবরোধ চলবে। সড়ক অবরোধের ফলে এইদিন রাস্তার দুই পাশে আটকে পড়ে ছোট বড় বহু যানবাহন। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারন যাত্রীদের।