স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ১৬ মার্চ : সরকার চাকরি না দিয়ে স্কুটি দিয়ে রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। ত্রিপুরায় কর্মসংস্থানের এতটা উদ্বেগ জনক পরিস্থিতি যে গোটা দেশের মধ্যে বেকারত্বে ত্রিপুরা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। অথচ বর্তমান সরকারের মুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষামন্ত্রী বিদ্যালয়গুলির শিক্ষক শিক্ষিকার শূন্যপদ পূরণে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। রবিবার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই অভিযোগ তুললেন প্রদেশ এন এস ইউ আই -র সভাপতি স্বরূপ কমার শীল।
তিনি বলেন, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর সময়ে বিদ্যালয়ে গুলিতে নেশা দ্রব্য পাচার হচ্ছে। এমন সংস্কৃতি ত্রিপুরা রাজ্যের বিদ্যালয় গুলির মধ্যে আগে কখনো ছিল না। এছাড়াও রাজ্যের বিদ্যালয় গুলি শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরিভাবে ভেঙে পড়েছে। কারণ পর্যাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা নেই, মিড ডে মিলের ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো সরকার বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্প চালু করে শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে অর্থ আদায় শুরু করেছেন। কিন্তু দেশের দিল্লি সহ বিভিন্ন রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা বিনামূল্যে গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে। কারন শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার।
আর এই রাজ্যে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে শিক্ষার জন্য অর্থ সংগ্রহ শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি আরো বলেন, গত ২০২৩-২৪ শিক্ষা বছরে সরকার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীদের স্কুটি না দেওয়ায় গত এক সপ্তাহ আগে এন এস ইউ আই এর পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করার পর তাড়াহুড়ো করে ১৪০ জন ছাত্রীকে স্কুটি ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষামন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্য আরো বলেন মুখ্যমন্ত্রী কথার সাথে কাজের মিল নেই। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছেন তিনি। এর থেকে যাতে বিরত থাকে তার জন্য আহ্বান জানায় এন এস ইউ আই।