স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ৬ মার্চ :নাবালিকাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বৃহস্পতিবার কমলপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক এক ব্যক্তিকে কুড়ি বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০২২ সালে ৭ সেপ্টেম্বর সকাল আটটা নাগাদ কমলপুর থানাধীন ছোট সুরমা সুধনপাড়ার বাসিন্দা চন্দন মালি পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে যায়। তখন বাড়িতে ছিল একমাত্র নাবালিকা কন্যা।
তার পরিবারের লোকজন বাড়ির বাইরে ছিল। তখন চন্দন মালি নাবালিকা কন্যাকে গলায় চাপা দিয়ে ধরে তাকে ধর্ষণ করে। বাড়ির পাশেই থাকা নাবালিকার মা তার কন্যার চিৎকার শুনে বাড়িতে আসে, তখন অভিযুক্ত মহিলার সামনে দিয়েই চন্দন মালিকে পালিয়ে যেতে দেখতে পায়। পরে কমলপুর থানায় মামলা দায়ের হয়। কমলপুর থানা মামলা নম্বর ৫০/২০২২/ইউ /এস -৪৪৭/৩৭৬এবি /৩২৩/৩০৭ আই পি সি, ও পকসো আইনের ৬ নং ধারা লাগু করে তদন্তে নামে পুলিশ। মোট চব্বিশ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালতে চার্জশিট পেশ করে।
শুনানি শেষে কমলপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক তথা বিশেষ বিচারক সাম্যবিকাশ দাস অভিযুক্ত চন্দন মালিকে ৫ মার্চ ২০২৫ দোষী সাব্যস্ত করে। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় দোষী ব্যক্তির সাজা ঘোষণা দেন বিচারক। চন্দন মালিকে পকসো’র ৬ নং ধারায় কুড়ি বছরের কারাদণ্ড সাথে দশ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। এদিকে আই পি সি ‘র ৫০৬ ধারায় এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।সরকারপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডিশনাল পি পি ইন্দুভূষণ দেব। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান আইনজীবী।