স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ২ মার্চ : চুরাইবাড়ি থানাধীন গোবিন্দপুরে ডাকাতির ঘটনায় আরো এক কুখ্যাত ডাকাত গ্রেফতার। উদ্ধার হলো ধারালো অস্ত্র ও টিএসআর -এর পোশাকও। এখন পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে চুরাইবাড়ি থানার পুলিশ।ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ২২ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে এক ভয়ংকর ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল উত্তর ত্রিপুরা জেলার চুরাইবাড়ি থানাধীন গোবিন্দপুরে।
এদিন টি এস আর -এর পোশাক পরিধান করে গৃহস্থের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে অভিনব কৌশলে ডাকাতি কান্ড সংঘটিত করেছিল একদল ডাকাত। পরে পুলিশ তদন্তে নেমে গত বুধবার গভীর রাতে এ কান্ডে জড়িত থাকার দায়ে গ্রেফতার করে ডাকাত দলের দুই সদস্য কাবিল হোসেন ও জমির উদ্দিনকে। তাদের উভয়ের বাড়ি কদমতলা থানাধীন দক্ষিণ কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ছয় নং ওয়ার্ড এলাকায়। থানার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার জানান, চুরাইবাড়ি থানার পুলিশ উক্ত ঘটনায় সুনির্দিষ্ট 6/25 নাম্বারের বিএনএস 331(4) /310(2)/117(2)/3(5) এবং অস্ত্র আইনের ২৭ ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত নামে এবং ডাকাতি কান্ডের চারদিন পর জড়িত দুই দূর্ধর্ষ ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ধৃতদের জোর জিজ্ঞাসাবাদ চালায় পুলিশ। শেষে পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে তাদেরকে ধর্মনগর জেলা ও দায়রা আদালতে প্রেরন করা হলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
পরবর্তী সময় ধৃতদের রিমান্ডে এনে জেলা ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এবং চুরাইবাড়ি থানার ওসি জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে শনিবার ডাকাত দলের আরেক সক্রিয় সদস্য বিলাল উদ্দিনকে জালে তুলতে সক্ষম হয়। জানা গেছে তার বাড়িও দক্ষিণ কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের চার নং ওয়ার্ডে। পরে ধৃতদের টানা জিজ্ঞাসাবাদ করলে ধৃত বিলালের স্বীকারোক্তিতে শনিবার গভীর রাতে ডাকাতি কান্ডে ব্যবহৃত টিএসআর জওয়ানদের ব্যবহৃত রঙের তিন জোড়া পোশাক দুটি সাবল একটি দাও, ভুজালি ইত্যাদি গোবিন্দপুর এলাকার একটি জঙ্গল থেকে ডিসিএম জিনিয়াস দেববর্মার উপস্থিতিতে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান অফিসার ইনচার্জ খোকন সাহা। তিনি আরো জানান উক্ত ডাকাতি কান্ডে আরো কয়েকজন জড়িত রয়েছে। যদিও পুলিশের তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম বলা হয় নি। এদিকে ডাকাতি কান্ডে ব্যবহৃত পোশাক সহ কিছু সামগ্রী উদ্ধার হলেও চুরি যাওয়া কোন সামগ্রী উদ্ধার হয়নি এখনো। তাছাড়া উক্ত কান্ডে ব্যবহৃত দুটি বন্দুকও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি পুলিশের পক্ষে। যদিও এবিষয়ে পুলিশ তদন্ত জারি রেখেছে। এদিকে ধৃত বিলাল উদ্দিনকে রবিবার পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে ধর্মনগর জেলা ও দায়রা আদালতে প্রেরণ করা হবে।