স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ২৫ ফেব্রুয়ারি : সম্প্রতি কেন্দ্র, রাজ্য, এনএলএফটি ও এটিটিএফ-এর মধ্যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়। এই ত্রিপাক্ষিক চুক্তির পর বহু বৈরি মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। কিন্তু ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী তাদেরকে যে সকল সুযোগ সুবিধা প্রদানের কথা সেই গুলি সবগুলি এখনো পূরণ হয় নি। পাশাপাশি আত্মসমর্পণকারি বৈরীরা আরও একাধিক নতুন দাবিকে সামনে নিয়ে এসেছে। এই দাবি গুলি পূরণ করার লক্ষ্যে ইতিপূর্বে চারবার জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছে তারা। এইবার ফের একবার ২১ দফা দাবিকে সামনে রেখে সড়ক অবরোধ করে আত্মসমর্পণকারি বৈরীরা।
প্রথমে তারা মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য জাতীয় সড়ক অবরোধের ডাক দিলেও, সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। আপাতত তারা মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরোধের সিদ্ধান্ত নিয়ে গনা কয়েক কর্মী সকাল থেকে রাস্তায় নামে। বড়মুড়া পাহাড়ের হাতাই কতরে মঙ্গলবার সকাল থেকে আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়ক অবরোধে বসে টিইউআইআরপিসি। আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা, আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের যে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে পানীয় জল, রাস্তা এবং বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা, আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের ছেলেমেয়েদের জন্য উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত তাদের পড়াশোনার সুযোগ সম্পন্ন বিনামূল্যে করা, স্বাভাবিক জীবন যাপনে ফিরে আসার পর প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী তাদের এডিসিতে চাকরি প্রদান করা সহ মূলত ২১ দফা দাবি তাদের রয়েছে।
টিইউআইআরপিসি-র সভাপতি ডানিয়েল দেববর্মা জানান, দাবি পূরণ না হওয়ায় পঞ্চম বারের মতো তারা জাতীয় সড়ক অবরোধে বসেছে। তিনি আরও জানান জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা ও সরকারি আধিকারিকদের সাথে বহুবার আলোচনার পরেও তাদের দাবি পূরণ করা হয়নি। তাই তারা সড়ক অবরোধ করেছে। তিনি আরো জানান, তাদের কাছে খবর এসেছে আগামী ৪ মার্চ তাদের সাথে বৈঠকে বসবে জনজাতি কল্যাণ দপ্তর। তাদের মূলত যে দাবিগুলি রয়েছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হবে বলে তারা খবর পেয়েছে। কিন্তু সরকার পক্ষ থেকে কেউ তাদের সাথে এখন পর্যন্ত যোগাযোগ করেনি বলে জানান। তবে এদিন অবরোধ স্হলে আলোচনা হয়েছে যদি ইতিমধ্যে তাদের সমস্যার সমাধানের জন্য সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে তারা আগামী দিন এক মাস ব্যাপী আন্দোলন সংগঠিত করবে। মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয় সড়ক অবরোধ। তবে ত্রিপাক্ষিক চুক্তির পরেও সংগঠনের সদস্যদের এই ধরনের আন্দোলন নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই সড়ক অবরোধকে কেন্দ্র করে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে তার জন্য সক্রিয় রয়েছে আরক্ষা প্রশাসনও। অবরোধস্থলে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এদিন অবরোধের বাইরে ছিল অ্যাম্বুলেন্স, দমকলের গাড়ি সহ পরীক্ষার্থীরা।