Saturday, March 15, 2025
বাড়িরাজ্যউচ্ছেদের নির্দেশ পেয়ে ওয়ার্ড অফিস ঘেরাও করলো ছয় থেকে সাত শতাধিক ক্ষুদ্র...

উচ্ছেদের নির্দেশ পেয়ে ওয়ার্ড অফিস ঘেরাও করলো ছয় থেকে সাত শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, পুর নিগমকে পাল্টা হুশিয়ারি দিলেন ব্যবসায়ীরা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা ,  ৬ ফেব্রুয়ারি : আগরতলা শহরের সুপ্রাচীন রাজন্য আমলের বাজার লেইক চৌমুহণি। দীর্ঘ বছর পুরনো এই বাজারের সাথে জড়িত শত শত ব্যবসায়ী সহ কয়েক হাজার কর্মচারী। বাজারের একটা বৃহৎ অংশের ব্যবসায়ী সরকারি জমি দখল করে ব্যবসা করছে। গত চার ফেব্রুয়ারি বাজার পরিদর্শনে গিয়ে আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার কড়া সুরে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন আগরতলা শহরের সবচেয়ে বেশি যদি কোন বাজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ থেকে থাকে তাহলে সেটা হলো লেক চৌমুহনি বাজার। বহু বেআইনি কার্যকলাপ এ বাজারের মধ্যে সংঘটিত হয়। এ ধরনের কার্যকলাপ নিয়ে স্থানীয়রা রীতিমতো অভিযোগ করছে। তাই অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি যারা সরকারি জমি দখল করে বেআইনিভাবে ব্যবসা করছে তাদের নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হবে।

এই সময়ের মধ্যে তারা যদি ব্যবসা গুটিয়ে না উঠে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এই হুঁশিয়ারি দেওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বাজারে বিকেল বেলা মাইকিং করে আগরতলা পৌর নিগমের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যারা বাজারে সরকারি জমি দখল করে ব্যবসা করছে তাদের ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে উঠে যেতে হবে। তারপরেই বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ী মহলে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ীরা এলাকার ১৯ নং ওয়ার্ড অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভে সামিল হয়। তারা দাবি জানান, অবিলম্বে তাদের উচ্ছেদ হওয়ার জন্য বাজারে মাইকিং করেছে নিগম কর্তৃপক্ষ। তাই তারা ওয়ার্ড অফিস ঘেরাও করে দাবি জানাতে চায়, রাজন্য আমল থেকে এই বাজারে তারা ব্যবসা করে আসছে।

এবং তারা কোন উপযুক্ত জমি দখল করে ব্যবসা করছে না। আবর্জনার স্তূপের উপর বসে, ড্রেনের পাশে বসে কিংবা শৌচালয়ের পাশে বসে তারা মাছ মাংস এবং সবজি বিক্রি করে সংসার পরিচালনা করছে। তাদের সাথে জড়িত রয়েছে বহু কর্মচারী। যদি তাদের উচ্ছেদ করা হয় তাহলে তাদের পেটে লাথি মারবে। বংশ পরম্পরা অনুযায়ী তারা এই বাজারের মধ্যে ব্যবসা করে আসছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী এবং আগরতলা পুর নিগমের মেয়র যাতে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করেন। এক ক্ষুদ্র মহিলা ব্যবসায়ী দাবি সরকার চাকরি দেয় না। তাই বাপ দাদার ব্যবসা আগলে ধরে সংসার পরিচালনা করছে বহু শিক্ষিত যুবক। মহিলার দাবি সরকার যদি ড্রজার দিয়ে দোকান গড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে সেই ড্রজারের নীচে তারা ঝাপ দেবে। কারণ তাদের সংসার পরিচালনা করার বিকল্প কোন রাস্তা নেই। এই ব্যবসার উপর দিয়ে তারা ছেলে মেয়ের পড়াশোনা এবং ব্যাংকের ঋণ দিয়ে চলেছেন। তাদের মধ্যে আবার অনেকের বক্তব্য, তারা স্থায়ীভাবে দোকান নির্মাণ করে ব্যবসা করছে না। তাবু ঝুলিয়ে তারা ব্যবসা করে আসছে বাঁধের উপর। তাই সরকার যদি পুনঃ বিবেচনা না করে তাহলে তারা জমি ছাড়বে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় এদিন। পরে কাউন্সিলরের নিকট ডেপুটেশন প্রধান করেন ৬ থেকে ৭ শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য