স্যন্দন প্রতিনিধি। আগরতলা। ২৫ জানুয়ারি : শনিবার আগরতলা গীতাঞ্জলি অতিথি শালায় জাতীয় পর্যটন দিবস ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার সহ ত্রিপুরা পর্যটন দপ্তরের আধিকারিকরা। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বক্তব্য রেখে বলেন, ২০১৮ সালের পর ত্রিপুরায় পর্যটকদের ভিড় রাজ্য সরকারকে অনুপ্রেরণা যোগায়। ২০১৮ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত পর্যটক ২৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্র বড় পরিবর্তণ এসেছে। এ সময়ে এখন পর্যন্ত ৩১ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।
কারণ দিন দিন বিদেশী পর্যটকও ত্রিপুরায় ভিড় করছে। তাই ত্রিপুরার পর্যটনকে এক বিশেষ স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সেগুলি পূরণ করতে আগামী দেড় থেকে দু বছর সময় লাগবে। মন্ত্রী এর উদাহরণ টেনে বলেন ঊনকোটিতে বিগত দিনে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল না। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক থেকে সত্তর কোটি টাকা এনে সেই বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কুড়ি থেকে পঁচিশ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। ছবিমুড়া ৬০ কোটি টাকা ব্যয় করে উন্নত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ধরনের কাজকর্ম আগামী দিন অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, রাজ্যের একমাত্র হিল স্টেশন হলো জম্পুই হিল। সেখানে ইডেন লজটি স্টার ক্যাটাগরির হোটেল করার পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার। যাতে মানুষ থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত না হয়। অপরদিকে অ্যাডভান্সার ট্যুরিজমের ক্ষেত্রে প্যারাগ্লাইডিং, টয় ট্রেন সহ বিভিন্ন সুবিধা চালু করা হচ্ছে। মূল উদ্দেশ্য হলো অ্যাডভান্সার ট্যুরিজমের জন্য যাতে রাজ্যের মানুষকে ত্রিপুরার বাইরে যেতে না হয়। মন্ত্রী আর বলেন, টোর অপারেটরদেরও বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। বহিঃ রাজ্য ও বিদেশ থেকে যারা রাজ্যে আসছে তাদের কিভাবে গাইড করতে হবে সে বিষয়ে টোর অপারেটরদের অবগত হতে হবে। প্রয়োজনের তাদের রাজ্যের বাইরে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হবে। তাহলে আগামী দিন ত্রিপুরার পর্যটনকে বিশ্বের মানচিত্রে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। আয়োজিত অনুষ্ঠানে যেদিন ত্রিপুরার পর্যটন কেন্দ্র গুলির উপর একটি চিত্র প্রদর্শনী হয়। তা পরিদর্শন করেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।