স্যন্দন প্রতিনিধি। আগরতলা। ২৫ জানুয়ারি : দেশ সংকটের সময় আর.এস.এস রাষ্ট্রস্বার্থে এবং বিদেশি শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, কংগ্রেস এবং সিপিআইএমের সমালোচনা করে এমনটাই দাবি করলেন প্রদেশ বিজেপি মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য। শনিবার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম মনগড়া কিছু অভিযোগ চলছে শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে। পাশাপাশি বিরোধী দল সিপিআইএমের সহযোগী কংগ্রেস সংবিধান সংক্রান্ত বিষয়কে সামনে রেখে দলীয় স্বার্থে ও পরিবারের স্বার্থে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করেছিল।
এবং তারা শুধু বিভ্রান্তই করে নি, ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করেছে। পাশাপাশি শাসক দলের সংবিধানের প্রতি যে গর্ববোধ ও আস্থা রয়েছে তা বিকৃত করছে কংগ্রেস। তিনি আরো বলেন, দেশে যখন বিভিন্ন সংকট এসেছে তখন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ নিয়েছে। এমনকি চীনের যুদ্ধের সময় এবং বিদেশী শক্তি বিরুদ্ধে নিয়ম নীতি মেনে আরএসএস রাষ্ট্রস্বার্থে লড়াই করেছে। যার কারণে চীনের যুদ্ধের পর আরএসএস -কে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে ডাকা হয়েছিল। পাশাপাশি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করতে দ্রুত বিমানবন্দরও তৈরি করার জন্য এগিয়ে এসেছিল আরএসএস। এছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় যেভাবে আরএসএস এগিয়ে গেছে তা বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ পেয়েছে। এগুলি নতুন করে বলার কোন বিষয় নয়। অথচ ব্রিটিশদের কারা সহযোগী ছিল এবং দেশ ভাগ করে ক্ষমতা দখল করার চেষ্টা করেছে তা প্রকাশ্যে আসছে। সুতরাং বিকৃত ইতিহাস উপস্থাপন করে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রের সাথে প্রত্যেকটা দিন চিন্তা করেছে আরএসএস। তাই তারা নিবেদিত প্রান। রাষ্ট্রের স্বার্থে তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আরো দাবি করেন ভারতের কৃষ্টি, সংস্কৃতির উপর তাদের আস্থা ছিল বলে আরএসএস এই সংবিধান রূপায়ণের কথা চিন্তা করেছিলেন। তিনি কংগ্রেসকে উদ্দেশ্য করে আকার ইঙ্গিতে বলেন, যারা বিদেশী আদর্শে পুষ্ট বলে মনে করতেন এবং বিদেশি অনুকরণে চলবে, তারা নানহভাবে চেষ্টা করেছেন দেশকে সেই পথে নিয়ে যাওয়ার। এই সমস্ত শক্তির স্বার্থে নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থ এবং পরিবারের স্বার্থ চরিতার্থ করে সংবিধানের মধ্যে সংশোধন এনেছে। শুধু তাই নয় এই সংবিধানের মধ্যে দেশের মানুষের সুরক্ষার জন্য যে অধিকার ও রাজনৈতিক অধিকারগুলি ছিল সেগুলি কংগ্রেস জামানায় বারবার খর্ব করার চেষ্টা হয়েছে। এভাবে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ধ্বংস করার চেষ্টা হয়েছে। তাই এ ধরনের শক্তি দেশে যাতে আবার মাথা চারা দিয়ে উঠতে না পারে তার জন্য সাধারণ মানুষকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে বলে জানান তিনি। সিপিআইএমের বিরুদ্ধে এদিন কামান দেগে বলেন, রাজ্যে সন্ত্রাসের বাতাবরণ সৃষ্টি করেছিল সিপিআইএম। ত্রিপুরাকে তারা কোথায় নিয়ে গিয়েছিল সেটাও মানুষ অবগত রয়েছে। এবং তৎকালীন সরকারের সময় রাজ্যের বিরোধী দল গুলির কার্যকর্তা ও কর্মী সমর্থকদের উপর কি ধরনের অত্যাচার হয়েছে সেটাও মানুষ জানে। কিন্তু বর্তমান শাসক দল তাদের ক্ষমা করে দিয়েছে। গ্রাম অঞ্চলের মানুষ বিরোধী দলের সমর্থক হলে তাদের সমাজচ্যুত করার চেষ্টা হতো। এগুলো শিকার কংগ্রেসও হয়েছে। দীর্ঘ সময় তারা এগুলি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারলেও এখন তারা এগুলি আর রাজ্যে করতে পারবে না বলে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিলেন প্রদেশ বিজেপি মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য।