Sunday, May 18, 2025
বাড়িরাজ্যবর্তমান বিজেপি অটল বিহারী বাজপেয়ী এবং সুষমার স্বরাজের বিজেপি না, এই বিজেপি...

বর্তমান বিজেপি অটল বিহারী বাজপেয়ী এবং সুষমার স্বরাজের বিজেপি না, এই বিজেপি মোদী, অমিত শাহ ও পুঁজিপতিদের বিজেপি : সুদীপ

স্যন্দন প্রতিনিধি। আগরতলা। ২৩ জানুয়ারি : দেশে কংগ্রেস সরকারের সময় এস সি, এস টি এবং সংখ্যালঘুদের উপর কোন অত্যাচার হলে সংবিধান সংশোধন করে আইন আরো বেশি কঠোর করা হতো। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টির মনে এসসি, এসটি এবং সংখ্যালঘুদের জন্য কতটা ঘৃণা সেটা বারংবার তাদের কার্যকলাপে প্রমাণিত হচ্ছে। এবং এই ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার দেশের পুঁজিপতিদের কথা চিন্তা করে। বৃহস্পতিবার বিশ্রামগঞ্জে আয়োজিত প্রদেশ মহিলা কংগ্রেসের সম্মেলনে এ কথা বলেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে কনভেনশনের উদ্বোধন হয়।

 বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন ভারতীয় জনতা পার্টি এবং সিপিআইএমের সমালোচনা করে বলেন, তারা নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য এমজিএন রেগা সহ অন্যান্য প্রকল্প নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে। কিন্তু কাজের অধিকার দিতে পার্লামেন্টে এম জি এন রেগার বিল পাস করেছে কংগ্রেস। সকলের জন্য খাবারের অধিকার নিশ্চিত করতে তৎকালীন সময়ের কংগ্রেস সরকার পার্লামেন্টে বিল পাস করেছে। পাশাপাশি দেশে স্বাস্থ্যের অধিকার আইন পাস করে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করতে কংগ্রেস সহযোগিতা করেছে। এছাড়াও শিক্ষার অধিকার আইন, তথ্য জানার অধিকার আইন এবং জনজাতিদের জন্য বনাধিকার আইন পাস করেছে কংগ্রেস। সুদীপ রায় বর্মন আরো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত ১১ বছরে প্রমাণ করতে পারেননি কংগ্রেসের কোন নেতা দুর্নীতি করেছে। আরো বলেন, বিজেপি সরকারের আমলে দেশ দুর্নীতিতে ডুবে গেছে।

আরো দুর্নীতিতে ডুবে যেতে প্রদেশ বিজেপির সভাপতি, মন্ডল সভাপতি, বুথ সভাপতি এবং জেলা সভাপতির পদ নিয়ে কাড়াকাড়ি চলছে প্রদেশ বিজেপি -র মধ্যে। কারণ কমিশন বাণিজ্য। এই কমিশন বাণিজ্যের সাথে জড়িত রাজ্যের অধিকাংশ মন্ত্রী বিধায়করা। অথচ বিজেপি -র একটা অংশ এ ধরনের কমিশন বাণিজ্য এবং সন্ত্রাসের সাথে সাথে জড়িত হতে না পারায় দলের কাছে বোঝা হয়ে গিয়েছিল। ২০১৮ সালের পর তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই বর্তমান বিজেপি অটল বিহারী বাজপেয়ী এবং সুষমার স্বরাজের বিজেপি না। এই বিজেপি মোদী অমিত শাহ এবং পুঁজিপতিদের বিজেপি। তাই দেশে যা সম্পদ হয়েছে তা কংগ্রেস সরকারের সময় হয়েছে। সুতরাং দেশের কথা কংগ্রেস ছাড়া আর কোন রাজনৈতিক দল ভাবে না। আয়োজিত সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে বিশ্রামগঞ্জে মহিলা কংগ্রেসের মিছিল সংঘটিত হয়। কনভেনশনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা, প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযুষ কান্তি বিশ্বাস, প্রদেশ মহিলা কংগ্রেস সভাপতি সর্বানী ঘোষ সহ অন্যান্যরা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য