স্যন্দন প্রতিনিধি। আগরতলা। ২০ জানুয়ারি : সম্প্রতি রাজ্যে বিধানসভা অধিবেশন হয়েছে। এই বিধানসভা অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী সহ মন্ত্রীদের পরিবেশিত তথ্যগুলি দ্বারা ব্যর্থতার নজির উঠে এসেছে। অপরদিকে রাজ্যবাসী আতঙ্কিত হয়েছে। এমনকি গত ১৬ জানুয়ারি পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে উদ্বোধনে কর্মসূচিতে গিয়ে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করেছেন তিনি। যা রাজ্যবাসীকে অবাক করেছে। সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উত্থাপন করেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রবীর চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার। কিন্তু বর্তমান ত্রিপুরা নেশার সাগরে ভাসছে। মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভা অধিবেশনে দাঁড়িয়ে নেশার বিরুদ্ধে যে তথ্যটি তুলে ধরেছেন সেটা সিন্দুর মধ্যে বিন্দুমাত্র। এবং মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করেছেন নেশার কারণে আজ রাজ্যে এইডসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো ২০১৮ সালের পর ত্রিপুরা এইডসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। তারা সিরিঞ্জের মাধ্যমে ড্রাগস নিয়ে আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের মধ্যে একটা অংশ হলো ছাত্র-ছাত্রী।
এই প্রসঙ্গ এনে তিনি বলেন এটা কি নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার লক্ষণ? তারপরও মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলছেন সরকার নাকি নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ছে! তিনি আরো বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসাব দিয়ে বলছেন কতজন নেশা পাচারকারীদের গ্রেপ্তার হয়েছে। কিন্তু যারা গ্রেফতার হচ্ছে তারা গাড়ি চালক বা গাড়ির সহ চালক। কিন্তু যারা আসল নেশা পাচারকারী এবং নেশাদ্রব্য বিক্রেতা তাদের টিকির নাগাল পাচ্ছে না পুলিশ। কারণ যারা এগুলোর সাথে জড়িত তারা শাসক দলের লালিত পালিত কিংবা শাসক দলের কোন শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব। এবং তাদের সাথে চলে গেছে পুলিশের একটা অংশ। যার কারণে কয়েকদিন আগে উত্তর ত্রিপুরা জেলার এক পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করতে হয়েছে। সরকার প্রকৃত নেশা কারবারিদের আড়াল করে রাখছে। সুতরাং কান টানলে মাথা আসতে পারে তাই সরকার প্রকৃত নেশা কারবারিদের আড়াল করে রাখছে বলে অভিযোগ তুলেন তিনি।