স্যন্দন প্রতিনিধি। আগরতলা। ১৯ জানুয়ারি : ১৯ শে জানুয়ারি ককবরক দিবস। এবছর ৪৭ তম ককবরক দিবস উপলক্ষে রবিবার আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিক ভবনের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের কৃষি ও বিদ্যুৎ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ, বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া, প্রাক্তন বিধায়ক অতুল দেববর্মা সহ অন্যান্যরা। মন্ত্রী রতন লাল নাথ ককবরক ভাষার মানুষকে এবং জনজাতি কল্যাণ দপ্তরকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ককবরক দিবস উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, কোন একটি মাতৃভাষা যদি হারিয়ে যায় তাহলে একটি সমাজ হারিয়ে যাবে। কারণ মাতৃভাষা দ্বারা মানুষ নিজেকে যতটা তুলে ধরতে পারে ততটা অন্য ভাষার মাধ্যমে পারে না। দেশের প্রধানমন্ত্রী মাতৃভাষার দিকে গুরুত্ব দিতে সকলের উদ্দেশ্যে আহ্বান করেছেন। তিনি আরো বলেন মাতৃভাষা মায়ের দুধের মত। মায়ের দুধের যেমন বিকল্প হয় না, মাতৃভাষার বিকল্প হয় না। এজন্য বর্তমান সরকার ককবরক ভাষাকে প্রাইমারি স্তর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথকভাবে ককবরক ডিপার্টমেন্ট খোলা হয়েছে। এই বিষয়ের উপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করার সুযোগ রয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য। আরো বলেন বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ককবরক ভাষার ২২ জন অধ্যাপক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল।
একই সাথে জুডিশিয়াল সার্ভিসে ককবরক ভাষা যুক্ত করা হয়েছে। পিজিটি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও ককবরক ভাষায় পরীক্ষার গ্রহণ চালু করা হয়েছে। ১২৯৬ টি বিদ্যালয় ককবরক ভাষা চালু হয়েছে। ১২ হাজার ছাত্রছাত্রী ককবরক ভাষা নিয়ে পড়াশোনা করেছে। যেসব কর্মচারীরা ককবরক ভাষা জানেন না তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যাতে তারা কর্মস্থলে ককবরক ভাষা ব্যবহার করতে পারেন। সুতরাং ককবরক ভাষার প্রচার ও বিকাশ চায় সরকার। তিনি এক প্রকার অভিযোগ তুলে বলেন, দীর্ঘ বছর রাজ্যে ককবরক ভাষাকে লালন পালন করা হয়নি। এমনকি তাদের সংস্কৃতির সাথে জড়িত পাছড়া বিলুপ্ত হওয়ার পথে। তাই এদিকে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে চলেছে বলে জানান তিনি। এদিন শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ও মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ নেয়।