স্যন্দন প্রতিনিধি। আগরতলা। ১৮ জানুয়ারি : কৈলাসহরের রাঙ্গাউটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবীপুর এলাকায় ভারত – বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের পাশে বাংলাদেশ সরকার উঁচু করে বাঁধ নির্মাণ করছে বলে বিধায়ক বিরজিত সিনহা এবং মন্ত্রী সুধাংশু দাশ ১৫ জানুয়ারি বিধানসভা অধিবেশনে উত্থাপন করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ১৭ জানুয়ারি ঊনকোটি জেলার জেলা শাসকের নেতৃত্বে প্রশাসনিক একটি দল সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করে বাংলাদেশ সরকার যে উঁচু বাঁধ নির্মাণ করছে বলে দাবি করেছিলেন তা সঠিক নয়। বাংলাদেশ সরকার সেখানে বাঁধ নির্মাণ করছে না।
সেটা বাঁধ নয় বলে দাবি করেন বি.এস.এফের পানিসাগর সেক্টরের ডি.আই.জি রাজীব ভটসরাজ। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় কৈলাসহরের টিলাবাজার স্থিত বি.এস.এফের বি.ও.পি-তে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, দেবীপুর এলাকায় ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে বাংলাদেশ সরকার বাঁধ নির্মাণ করছে না। বাংলাদেশ সরকার সেখানে রাস্তা নির্মান করছে। বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার অন্তর্ভুক্ত আলীনগর এবং শরিপফুর এই দুইটি গ্রামের সংযোগ করার জন্য বাংলাদেশ সরকার রাস্তা নির্মান করছে। বি.এস.এফ সেটা অনেক দিন আগেই দেখেছে।
তবে এই রাস্তা নির্মান করতে গিয়ে বাংলাদেশ সরকার সামান্য কিছু ভুল করেছে। সেটা হলো বাংলাদেশ সরকার এই রাস্তা নির্মান করার সময় দেবীপুর এলাকায় ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৮৪৯ নং পিলারের একেবারে পাশ দিয়ে রাস্তাটি নির্মান করেছে। তবে সেই রাস্তাটির খুব ছোটো অংশ পিলারের কাছে নির্মান করা হয়েছে বলেও দাবি করেন। বি.এস.এফের নজরে গত ২ নভেম্বর বিষয়টি আসার সাথে সাথে সেইদিন বি.এস.এফ বাংলাদেশের কাজে বাঁধা দেয় । সাথে সাথেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেই জায়গায় আর কোনো কাজ হয়নি বলেও জানান ডি.আই.জি। এছাড়াও জানান, বাংলাদেশের যে জায়গায় রাস্তা নির্মান হচ্ছে সেখানে আগেও রাস্তা ছিলো। রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার নতুন করে ফের রাস্তা নির্মান করছে। সেটা বাঁধ নয় এবং এই রাস্তার পাশে মনু নদীও নেই বলে জানান। সেই রাস্তা থেকে মনু নদীর দূরত্ব সাড়ে সাতশো মিটার বলেও জানান