স্যন্দন প্রতিনিধি। আগরতলা। ১৭ জানুয়ারি : ডাবল ইঞ্জিন সরকারের আমলে জনগণের উন্নয়ন গতিতে না হলেও, মন্ত্রী বিধায়কদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি পেয়ে ডাবল হয়েছে। তাই সরকারের উদ্দেশ্যে এক প্রবীণ ব্যক্তির বলছেন আমরা জলের অভাবে মরে গেলেও সরকারের দুঃখ নেই। গ্রামে রাস্তার অভাবে বাড়িতেই হচ্ছে সন্তান প্রসব। কিন্তু বিকাশ ত্রিপুরায় গত সাত বছর ধরে এখনো উন্নয়নের ছোঁয়ার বাইরে পানিসাগর মহকুমাধীন পূর্ব জলাবাসা পাঁচ নং ওয়ার্ডের শিমুলটিলা গ্রামের অসহায় মানুষ। এমনটাই দাবি করলেন অভিনাশ দাস নামে এক প্রবীণ ব্যক্তি।
তিনি বলেন, পরিশ্রুত পানীয় জলের সঙ্কট, বিদ্যুৎ সমস্যা এবং রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থায় ভুগছে গ্রামের দশটি পরিবার। জল জীবন মিশনের পক্ষ থেকে একটি পাম্প হাউজ বসালেও এক বছরের অধিক সময় অতিক্রান্ত হয়েছে, অথচ এখন পর্যন্ত বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়া হয়নি। এছাড়ো লো- ভোল্টেজ নিয়ে অভিযোগ তোলেন তারা। তারা আরো জানান, স্থানীয় পঞ্চায়েত সহ পঞ্চায়েতের জন প্রতিনিধিদের একাধিকবার জানালেও কোন সুরাহা হয়নি। এদিকে শুখা মরশুমে গ্রামের দশটি পরিবার পানীয় জল ও দৈনন্দিন ব্যবহারের জলের জন্য তীব্র সমস্যায় ভুগছেন।
তিনি আরো বলেন, রাজ্যে ডাবল ইঞ্জিন সরকার আসলেও তাদের গ্রামের অবনতি ছাড়া কোন উন্নতি ঘটেনি। তাদের গ্রামে জল জীবন মিশনের একটি পাম্প হাউস বসানো হলেও আজ পর্যন্ত সেটাতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে চালু করা হয়নি। তাছাড়া বর্তমান মৌসুমে তাদের উঁচু উঁচু টিলায় বসবাসরত দশটি বাড়িতে জলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। মাটির কুয়ো ও পুকুর শুকিয়ে চৌচির হয়ে গিয়েছে। তিনি জানান, তাদের গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র ইট সোলিং রাস্তাটি ভেঙে চৌচির হয়ে পড়েছে। আর সেই রাস্তার উপর মাটি ফেলে মেরামত করেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। তাতে করে যাতায়াতের চরম সমস্যা সহ গর্ভবতী মহিলারা হাসপাতালে পৌঁছার আগে বাড়িতেই সন্তান প্রসব করছেন। তাদের মতে রাম জমানা থেকে বাম জমানায় তাদের এতটা ভোগান্তিকার হয় নি। সাথে বিদ্যুতের রয়েছে লো ভোল্টেজের সমস্যা। অপরদিকে লিপি মালাকার নামের এক গৃহবধূ জানান, বর্তমানে পরিশ্রুত পানীয় জল সহ দৈনন্দিন ব্যবহারের জলের চাহিদা মেটাতে ন্যূনতম দুই কিলোমিটার দূরে গিয়ে তা পূরন করতে হচ্ছে। জল জীবন মিশনের পাম্প হাউসটি উদ্বোধনের দিকে তাকিয়ে দশটি পরিবার। তাদের সকল আশা ভরসা এই পাম্প হাউসটি। আর যদি পাম্প হাউসটি উদ্ভোধন না হয় তাহলে সেটি উঠিয়ে নেওয়া হোক বলে সরকারের উদ্দেশ্যে ক্ষোভ উগড়ে দেন।